ব্রাজিল ১ (অগুস্তো ৭৬') | বেলজিয়াম ২ (ফার্নান্দিনহো ১৩' (আত্মঘাতী), ব্রাইন ৩১')
জার্মানি, আর্জেন্তিনা, স্পেন আগেই রাশিয়া থেকে নিজেদের দেশে ফিরে এসেছিল। বিশ্বকাপে আশা-প্রত্যাশার শেষ সম্বল ছিল ব্রাজিল। টিমটিম নয়, রীতিমতো দাউ দাউ করে জ্বলছিল সাম্বার দেশ। সেলেকাওদের হাতে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ দেখছিলেন আপামর ব্রাজিলের ফ্যানেরা।
শুক্রবার প্রায় ২০ হাজার ব্রাজিল সমর্থকের সামনে কাজান এরিনায় নেইমারদের থামিয়ে দিল বেলজিয়াম। এবারের মতো ব্রাজিলের বিশ্বকাপ অভিযান কোয়ার্টার ফাইনালে এসে থামল। প্রতীক্ষা আরও চার বছরের।
এদিন দুই দলের পারফরম্যান্স বিচার করলে দেখা যাবে, যে লড়াই হয়েছে সেয়ানে সেয়ানে। প্রথমার্ধে ছিল বেলজিয়ামের আধিপত্য। বিরতির পর খেলায় দুরন্ত ভাবে ফেরে ব্রাজিল। তবে এদিন ব্রাজিলের হারের পিছনে অন্যতম কারণ ছিল দুর্ভাগ্য।
খেলার প্রথম গোলটাই ধরা যাক। ইডেন হ্যাজার্ডের সেটপিসে হাত ছুঁইয়ে আত্মঘাতী গোল করে বসেন ফার্নান্দিনহো। এই গোলের পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বেলজিয়াম। ৩১মিনিটে ফের গোল করে তারা। রোমেলু লুকাকুর অনবদ্য ডাউন দ্য মিডল রান থেকে ব্রাইন গোল করে ম্যাচের ভাগ্য লিখে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলের হয়ে ব্যবধান কমান রেনাতো অগুস্তো। ফিলিপ কুটিনহোর চিপ থেকে দুরন্ত হেড করেন তিনি। ব্রাজিল সমতায় ফেরার মরিয়া লড়াই চালায়। কিন্তু একাধিক নষ্ট সুযোগ এবং বেলজিয়ামের গোলরক্ষক থিয়াবু করতোয়ার অনবদ্য কিপিংয়ের সামনে ব্রাজিলের সব রাস্তা যেন বন্ধ হয়ে যায়।
ব্রাজিলের বিদায়ের সঙ্গেই বাঙালির বিশ্বকাপ দেখা কার্যত শেষ হয়ে গেল। আসলে বাঙ্গালি চিরন্তন ভাবে শুধু দু'টো দল বোঝে। আর্জেন্তিনা, ব্রাজিল। কেউই রইল না আর এবার।