পেনাল্টিতে ৪-৩ জিতল ক্রোয়েশিয়া
শনিবারের সোচিতে ফুটবলের নামে চলল সাসপেন্স থ্রিলার। যা দেখলে আলফ্রেড হিচককও লজ্জা পেতেন ছবি বানাতে! পরতে পরতে শুধু নাটক আর নাটক। বিশ্বকাপের ম্যাচ তো নয়, সাজান চিত্রনাট্য। এ সবেরই সাক্ষী থাকল ফিস্ট স্টেডিয়াম। সৌজন্যে ২১ তম বিশ্বকাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল। প্রযত্নে রাশিয়া-ক্রোয়েশিয়া।
বিশ্বকাপের সেরা ক্লাসিক ম্যাচগুলোর সঙ্গে এক ঘরেই থাকবে কালকের রাশিয়া-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচ। ম্যাচের প্রথম গোল থেকে শেষ গোল পর্যন্ত উত্তেজনার পারদ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ল। তার আঁচ এসে পড়ল ভিআইপি বক্সে।
আজ সেখানে ছিলেন কোলিন্দা গ্রাবার কিতা রোভিচ, ক্রোয়েশিয়ার প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট। তাঁর সঙ্গে এক আসনে রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ। এই দুই রাজনৈতিক নক্ষত্রের মাঝে ছিলেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ানি ইনফ্যান্টিনো। কিছুটা দূরে বসে ডাভর সুকের। ৯৮ বিশ্বকাপের শেষ চারে ওঠা ক্রোয়েশিয়া দলের সদস্য ছিলেন তিনি। এদিন ক্রোয়েশিয়ার প্রায় প্রতিটি মুভে শিহরিত হচ্ছিলেন কিতারোভিচ। শিশুর মতো লাফিয়ে উঠছিলেন তিনি। আবেগ চেপে রাখতে পারেননি মেদভেদভও।
এদিন প্রথমার্ধে দু'দলই প্রায় একরকম ফুটবল খেলল। বিরতিতে স্কোর থাকল ১-১। ম্যাচের ৩১ মিনিটে চেরিশেভের দুরন্ত গোলে এগিয়ে যায় রাশিয়া। কিন্তু তাদের আনন্দ বেশিক্ষণ থাকেনি। ক্রোয়েশিয়ার হয়ে ক্রামারিচ গোল শোধ করে দেন। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে কোনও ফল না-হওয়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়। যোগ করা সময়ের প্রথম ১৫ মিনিটেই ডোমাগোজ ভিডা গোল করে বেরিয়ে যান। ক্রোয়েশিয়া যখন জয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। তখনই ঝড়ের বেগে উদয় হয়ে ফার্নান্ডেজ গোল করে ম্যাচের আশা জিইয়ে রাখেন। এরপর টাইব্রেকারে খেলা গড়ায়। ক্রোয়েশিয়া ৪-৩ জিতে বুধবার ইংল্যান্ডের সঙ্গে শেষ চার খেলবে।