ফ্রান্স ১ (উমতিতি ৫১') | বেলজিয়াম ০
ফ্রান্স-বেলজিয়াম, ইউরোপের মানচিত্রের দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র। যাদের পারস্পরিক সম্পর্ক বন্ধুর মতোই। কিন্তু ফুটবলের মাঠে তাদের শত্রুতার ইতিহাস দীর্ঘ।
ফ্রান্সের প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমগুলো প্রাক ম্যাচ বিশ্লেষণে ফলাও করে ব্যবহার করেছিল দুই বিশ্ববিখ্যাত কমিক চরিত্র, টিনটিন ও অ্যাসটেরিক্স। বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে সাংবাদিক টিনটিনের বেলজিয়াম এবং অ্যাসটেরিক্সের দেশের ডুয়াল চেটেপুটে উপভোগ করেছে সোশ্যাল মিডিয়াও।
মঙ্গলবার সেন্ট পিটার্সবার্গে শেষ হাসি হাসল অ্যাসটেরিক্স। বেলজিয়ামকে হারিয়ে ২০১৬-র ইউরো রানার্স ফ্রান্স পৌঁছে গেল বিশ্বকাপের ফাইনালে। ১৯৯৮ এবং ২০০৬-এর পর এই নিয়ে তৃতীয়বার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল ফ্রান্স। অন্যদিকে আরও একবার বেলজিয়াম ফুটবলের সোনালি প্রজন্মের স্বপ্নের সলিল সমাধি হয়ে গেল।
এদিন ম্যাচের ৬৪ শতাংশ বল পজেশন নিজেদের কাছে রেখেও বেলজিয়াম কাজের কাজটা করতে পারল না। রবার্তো মার্টিনেজদের দুরন্ত আক্রমণ দিদিয়ের দেশর সুপরিকল্পিত রক্ষণে এসে প্রতিহত হল।
ইডেন আজার, কেভিন দি ব্রুইনিরা আটকে গেলেন কিলিয়ান এমবাপেদের কাছে। ম্যাচের প্রথমার্ধে চূড়ান্ত আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণই দেখা গেছে। কিন্তু ফ্রান্সের তে-কাঠির নিচে হুগো লরিস না-থাকলে বেলজিয়াম হিসেব বদলে দিত। অনবদ্য সব সেভ করলেন তিনি। বেলজিয়ামের গোলরক্ষকও থিয়াবু কুতোয়ও এদিন অনবদ্য খেললেন। এককথায় নেক-টু-নেক ছিল লড়াই। কিন্তু বিরতির সাত মিনিট পরেই সব বদলে গেল। আঁতোয়া গ্রিজম্যানের সেটপিস থেকে স্যামুয়েল উমতিতির গোলই ম্যাচের ভাগ্য লিখে দিল। কল্পনাতেও আসেনি যে, বেলজিয়াম সমতায় ফিরবে না। লুকাকুরা দু'গোলে পিছিয়েও জাপানের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। এদিন আর পারলেন না।
আগামী রবিবার ফ্রান্স নামবে লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলতে। আর কয়েক ঘন্টা পরেই ঠিক হয়ে যাবে ফ্রান্সের সঙ্গে কে খেলবে! ইংল্যান্ড না ক্রোয়েশিয়া!