ইংল্যান্ড ২ ( ম্যাগোয়ার ৩০', আলি ৫৮') | সুইডেন ০
সুইডেনের বিরুদ্ধে নামার আগে ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ সাউথগেট বলছিলেন, ইংল্যান্ড এরকম সুযোগ আর বিশ্বকাপে পাবে না। ১৯৬৬-র পর ফের একবার থ্রি-লায়ন্সের শিরোপা স্পর্শের সুযোগ আছে বলেই মত ইংরেজ কোচের।
ইংল্যান্ডের জাতীয় সঙ্গীত 'গড সেভ দ্য কুইন'-এর সময় টিম ইংল্যান্ড ছাড়াও সে দেশ থেকে আসা ৩০ হাজার সমর্থক শনিবার সামারা এরিনায় শব্দব্রহ্ম তৈরি করেছিল। বলাই বাহুল্য রাশিয়ার মাটিতে ইংল্যান্ডের এহেন সমর্থন হ্যারি কেনদের ঘরের মাটিতে খেলার স্বাদ এনে দিয়েছিল।
চলতি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সমর্থকরা একটা ট্যাগলাইনের জন্ম দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, 'ইট ইজ কামিং হোম'। অর্থাৎ কাপ এবার তাঁদের দেশে আসছে। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জিতবে কি না সেটা সময় বলবে। তবে এটা বলা যায় যে, সুইডেনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দাবি আরও জোরালো করল থ্রি-লায়ন্স। ১৯৬৬ ও ১৯৯০-এর পর এই নিয়ে তৃতীয় বার শেষ চারে উঠল তারা। ২৮ বছর আগে ইতালিতে শেষবার সেমিফাইনাল খেলেছিল ইংল্যান্ড।
এদিনের কোয়ার্টার ফাইনালের শুরু থেকেই ফেভারিট ছিল। সুইডেনের বিরুদ্ধে সে অর্থে কোনও বেগ পেতে হয়নি তাদের। সাউথগেট বিশ্বকাপের ২৩ সদস্যের দল বেছে নিয়েছিলেন জো হার্টকে বাদ দিয়ে। ন্যয়ারের তে-কাঠির সাম্রাজ্যেও হার্ট কিন্তু নিজের হাতযশ দেখিয়েছিলেন ফুটবল দুনিয়াকে। সাউথগেট বুঝিয়ে দিলেন, যে এই ইংল্যান্ড 'হার্ট-লেস' হয়েও সুন্দর। জর্ডন পিকফোর্ড শুধু ইংল্যান্ডকে কোয়ার্টার ফাইনালেই তুললেন না, সমারায় সুইডেনের যাবতীয় সন্ত্রাস একা হাতে বিপদসীমা পার করিয়ে দিলেন।
এদিন ৩০ মিনিটের মাথায় ইয়ংয়ের সেটপিস থেকে একটা গগনচুম্বী স্পট জাম্প থেকে হ্যারি ম্যাগোয়ার অনবদ্য গোল করে এগিয়ে দেন ইংল্যান্ডকে। বিরতিতে ১-০ এগিয়ে মাঠ ছাড়া ইংল্যান্ড দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯ মিনিটে দেলে আলির গোলে স্কোরলাইন ২-০ করে। সুইডেন কার্যত তখনই ম্যাচ থেকে বেরিয়ে যায়।