Advertisment

FIFA World Cup 2018: জার্মান শিকার করেই নিজের অস্তিত্ব জানান দিল Champions' Curse

২০১০-এ ইতালি ও ২০১৪-তে স্পেনের সঙ্গেও ঘটেছিল একই ঘটনা। ২০১৮-তে তারই পুনরাবৃত্তি ঘটল জার্মানির সঙ্গে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Germany

FIFA World Cup 2018: জার্মান শিকার করেই নিজের অস্তিত্ব জানান দিল Champions' Curse

দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে গতবারের শিরোপাধারী জার্মানি। ১৯৩৮ এর পর এই প্রথম এত খারাপ পারফরম্যান্স এল জার্মানদের কাছ থেকে। ৮০ বছর পর জার্মানিকে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে বেরিয়ে যেতে হল। এখানেই শেষ নয়, টানা তিনটে বিশ্বকাপেই ঘটল এক ঘটনা। কাকতালীয় হলেও, এটাই বাস্তব।

Advertisment

গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন টিমের পরের বছর প্রাথমিক পর্বেই যবনিকা পড়ে যাওয়ার ঘটনাকে ফুটবলের পরিভাষায় বলা হয় চ্যাম্পিয়ন্স কার্স বা অভিশপ্ত চ্যাম্পিয়ন। ২০১০-এ ইতালি ও  ২০১৪-তে স্পেনের সঙ্গেও ঘটেছিল একই ঘটনা। ২০১৮-তে তারই পুনরাবৃত্তি ঘটল জার্মানির সঙ্গে।

আরও পড়ুন: FIFA Football World Cup 2018: কাজান বলল বিদায় জার্মানি

এই শতক চারবার সাক্ষী থাকল এই দুর্ঘটনার। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই নিয়ে ছ’বার। যদিও প্রথম বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়েকে এখানে রাখা হচ্ছে না। ১৯৩০-এ উরুগুয়েতে বসেছিল বিশ্বকাপের আসর। আয়োজক দেশই আর্জেন্তিনাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। কিন্তু পরের বিশ্বকাপে উরুগুয়ে অংশ নেয়নি। ১৯৩০-এ ইউরোপের মাত্র চারটি দেশই বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল। উরুগুয়ে সেটা মানতে পারেনি। তারই প্রতিবাদে তারা ১৯৩৪-এর ইতালি বিশ্বকাপ বয়কট করেছিল।

দেখে নেওয়া যাক কারা চ্যাম্পিয়ন্স কার্সের শিকার:

ইতালি ১৯৫০

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাই ছিল প্রথম বিশ্বকাপ। তার আগে ইতালি ব্যাক-টু-ব্যাক চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কিন্তু ১৯৫০-এ ব্রাজিলে আসা দলের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন দলের অনেকটাই ফারাক ছিল। জাহাজে করে আতলান্তিক মহাসাগর পেরিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিল তারা। দীর্ঘ জলপথে যাত্রার ধকলে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন ফুটবলাররা। ব্রাজিলে এসে তারা দু’ম্যাচ খেলেছিল। সুইজেন তাদের ৩-২ হারায়, প্যারাগুয়েকে তারা ২-০ হারিয়েছিল। সুইডেন গ্রুপ শীর্ষ হয়েই পরের রাউন্ডে উঠে যায়। ইতালিকে দেশে ফিরে যেতে হয়।

ব্রাজিল ১৯৬৬

১৯৫৮ ও ১৯৬২-তে পেলের ব্রাজিল ব্যাক-টু-ব্যাক বিশ্বকাপ জিতেছিল। এরপর তারা ১৯৭০ সালেও বিজয়ী হয়। কিন্তু ১৯৬৬-তে নেমে এসেছিল বিপর্যয়। পেলে ও গ্যারিঞ্চার গোলে ব্রাজিল প্রথম ম্যাচেই ২-০ হারিয়েছিল বুলগেরিয়াকে। কিন্তু বুলগেরিয়ার কড়া ট্যাকেলে গুরুতর চোট পান পেলে। চোট নিয়ে পরের ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি। হাঙ্গেরি সেই ম্যাচে ৩-১ হারিয়েছিল ব্রাজিলকে। যদিও ইউসেবিওর পর্তুগালের বিরুদ্ধে ডু-অর-ডাই ম্যাচে পেলেকে পেয়েছিল ব্রাজিল। কো ভিসেন্তে ফিওলা আহত পেলেকেই নামিয়েছিলেন। কিন্তু পেলে পারেননি। সেই ম্যাচেও পর্তুগিজদের কড়া ট্যাকেলে পেলেকে খোঁড়াতে হয়েছিল। পর্তুগাল ৩-১ হারিয়েছিল ব্রাজিলকে।

আরও পড়ুন: FIFA World Cup 2018: ২২ ম্যাচে ১৬ জন ক্যাপ্টেন, ব্রাজিল দলের রহস্যটা কি?

ফ্রান্স ২০০২

জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে জিনেদিন জিদানের ফ্রান্স শুধুই গতবারের চ্যাম্পিয়ন হয়ে মাঠে নামেনি। তারা ২০০০ সালে ইউরো কাপও জেতে। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই সেনেগালের কাছে হেরেছিল ফ্রান্স। চোটের জন্য প্রথম ম্যাচে মাঠেই নামতে পারেননি জিজু। পরের ম্যাচে উরুগুয়ের সঙ্গে ড্র করে তারা। গ্রুপের শেষ ম্যাচে জিদান নেমেও কিছু করতে পারেননি। ডেনমার্ক ২-০ হারিয়ে দিয়েছিল ফ্রান্সকে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে কোনও দল এত খারাপ পারফর্ম করেনি।

ইতালি ২০১০

২০০৬-এ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া ইতালি ২০১০-এ মুখ থুবড়ে পড়ে। জিয়ানলুইগি বুফোঁ ও ফাবিও কানাভারোরা গ্রুপের একটা ম্যাচও জিততে পারেনি। প্যারাগুয়ে ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করে তারা। শেষ ম্যাচে স্লোভাকিয়া ৩-২ হারায় ইতালিকে। এভাবেই শেষটা হয়েছিল ফ্রান্সের

আরও পড়ুন: FIFA Football World Cup 2018, Portugal vs Iran: ইরানিদের আচরণে বিরক্ত রোনাল্ডো, বললেন ঘুমোতে দিন

স্পেন ২০১৪

চ্যাম্পিয়ন্স কার্সের শিকার স্পেনও। ২০০৮-এ ইউরো কাপ ও ২০১০-এ বিশ্বকাপ জিতেছিল স্পেন। তিকিতাকায় সারা পৃথিবীকে মুগ্ধ করে দিয়েছিল তারা। কিন্তু ব্রাজিলে এসেই হতশ্রী চেহারা বেরিয়ে পড়ে ইকার ক্যাসিয়াস, জাবি হার্নান্ডেজ ও জাবি আলোন্সোদের। শুরুতেই নেদারল্যান্ডস ৫-১ গোলে হারিয়েছিল স্পেনকে। পরের ম্যাচে চিলিও ২-০ হারায় লা রোজাদের। শেষ ম্যাচেই শুধু তারা ৩-০ হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে।

FIFA WORLD CUP 2018
Advertisment