দেশের জয়ে আর স্থির থাকতে পারেননি। রবিবার মেসির হাতে কাপ উঠতেই দুই আর্জেন্টিনীয় মহিলা সমর্থক কাতারের নিয়মকে অমান্য করে টপলেস হয়ে গোটা বিশ্বের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন।
Advertisment
কাতারের নিয়ম অমান্য করার জন্য অনেকেই দুই মহিলা সমর্থকের পরিণতি ভেবে শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। তবে তাঁরা সকলের শঙ্কা উড়িয়ে সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছেন, নিরাপদেই তাঁরা আর্জেন্টিনায় ফিরে গিয়েছেন। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই কড়া ড্রেস কোড বেঁধে দিয়েছিল কাতারি প্রশাসন। বলা হয়েছিল আঁটোসাঁটো এবং খোলামেলা পোশাক একদমই পরা যাবে না। বিশ্বকাপ শুরুর আগে কাতারি সরকারের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, "আগত দর্শকদের কাছে প্রত্যাশা তাঁরা খোলামেলা পোশাক বর্জন করে যেন স্থানীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে সম্মান জানাবেন।"
সেই নির্দেশ কে অমান্য করেই আর্জেন্টিনার কুইমাস থেকে আসা মহিলা সমর্থক নোয়ে প্রকাশ্যে নিজেকে উন্মুক্ত করেছিলেন। তাঁদের আচরণ হয়ত কাতারি সরকারের দৃষ্টি এড়িয়ে গিয়েছে। অথবা কাতার প্রশাসন পুরো বিষয়টিকে অবজ্ঞা করেছে। এমনটাই ভাবা হচ্ছে। সম্প্রতি নোয়ে নিজের ইনস্টাগ্রামে প্লেনে নিজের ছবি সেলফি পোস্ট করে লিখে দিয়েছেন, জীবনের সেরা ট্রিপের অভিজ্ঞতা হল তাঁর।
নোয়ে নিজের ইনস্টাগ্রামে স্টেডিয়ামের বাইরে এবং ভিতরে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেন। যেখানে তাঁকে আর্জেন্টিনার জার্সিতে পতাকা হাতে নিয়ে দেখা যাচ্ছে। এমনকি রোমহর্ষক ফাইনালের টাইব্রেকার শ্যুট আউটের ভিডিও-ও পোস্ট করেন তিনি।
নোয়ে জানিয়েছেন এই পতাকা তাঁর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের উদ্দেশ্যে। "এই পতাকা আমি উৎসর্গ করছি আমার সমস্ত বন্ধু-বান্ধব, পরিবার এবং কুইমাস এবং দক্ষিণের সমস্ত সমর্থকদের যাঁরা আমাকে সবসময় সমর্থন করে গিয়েছেন সুন্দর সুন্দর বার্তা, শুভেচ্ছার মাধ্যমে। তাঁরা আমার জন্য গর্বিত। সেটা আমি হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে বুঝতে পারি। আমার গোটা জীবনটাই কুইমাসের জন্য। বিয়ারের শহরে জন্মাতে পেরে আমি গর্বিত।" দীর্ঘ ইন্সটা-পোস্টে লিখেছেন তিনি। অন্য একটি পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, জীবনের সেরা ট্রিপের অভিজ্ঞতা হল এবারই।
সেই সঙ্গে বিশ্বকাপের ড্রেস-কোডকে একহাত নিয়ে।নোয়ে লিখে দিয়েছিলেন, "যেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হোক, তাঁরা নিজেদের মত করেই সেলিব্রেট করবেন।"