/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/11/tv-reporter.jpg)
কাতার বিশ্বকাপে প্রতিদিনই নিত্য নতুন বিতর্ক সামনে আসছে। মহিলাদের ড্রেস কোড থেকে মদ্যপান সংক্রান্ত নিয়ম, প্লেয়ারদের 'ওয়ান লাভ' প্রতীক ব্যবহার না করতে দেওয়া, রামধনু ব্যান্ডে স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশে বাধা দেওয়া, নিষিদ্ধ ইসলামিক ধর্মগুরুকে আমন্ত্রণ জানানো- এই বিতর্কের ঘনঘটার মধ্যেই নতুন করে কাতার বিশ্বকাপে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল অপ্রীতিকর ঘটনা।
লাইভ শো করার সময়ে আর্জেন্টিনার মহিলা সাংবাদিক ছিনতাইয়ের কবলে পড়লেন। লাইভ শো শেষ করেই যিনি নিজেডলের হ্যান্ডব্যাগ থেকে একাধিক জিনিস খোয়া গিয়েছে বলে আবিষ্কার করেন। সেই ভিডিও ফুটেজ আপাতত ভাইরাল বিশ্বকাপে।
আরও পড়ুন: ৬ গোলের মালা পরিয়ে বিশ্বকাপ শুরু ইংল্যান্ডের! বিধ্বস্ত হয়ে মাঠ ছাড়ল ইরান
পুলিশে অভিযোগ করার পরে আরও আশ্চর্য হয়ে যান আর্জেন্টিনার সেই মহিলা সাংবাদিক ডমিনিক মেটজার। পুলিশকে জানানোর পরেই তাঁকে সুবিচারের আশ্বাস দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে পুলিশ জানান, অপরাধীকে তিনি নিজেই পছন্দমত শাস্তি দিতে পারেন।
La journaliste argentine Dominique Metzger a été volée en direct alors qu'elle faisait un reportage au Qatar sur la Coupe du monde. Une partie de son argent et ses papiers ont été volés. pic.twitter.com/btfcFOnhC1
— Claire (@Langoula1Claire) November 21, 2022
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য মিরর-কে ডমিনিক জানিয়েছেন, "আমার হ্যান্ডব্যাগে প্রয়োজনীয় সমস্ত সামগ্রী ছিল। এক জনের যা যা প্রয়োজন হতে পারে- হোটেল রুমের চাবি, ওয়ালেট এবং বেশ কিছু ন্যাপকিন। সমর্থকদের সঙ্গে আমিও নাচছিলাম। সেই সময়েই কেউ হয়ত আমার হ্যান্ডব্যাগের চেন খুলে পার্স তুলে নিয়েছে।"
"সেই সময়ে আমি বুঝতে পারিনি। লাইভ চলাকালীন আশেপাশে মিউজিক, সমর্থকদের হুল্লোড়- সেই সময়ে নিজের কাজেই ফোকাস করছিলাম। তাই চারপাশের বিষয়ে অতটা মনোযোগী ছিলাম না। লাইভ রিপোর্ট শেষ করে ওয়াটার বটল কেনার জন্য ওয়ালেট বের করার জন্য হ্যান্ডব্যাগ খুলি। সেই সময়েই বুঝতে পারি, আমার পার্স খোঁয়া গিয়েছে।" তিনি ডেইলি মেইল-কে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের ইতিহাসে বেনজির ঘটনা! ইংল্যান্ড-ইরান ম্যাচে ১৪ মিনিট এক্সট্রা টাইম, কেন জানুন
দ্যা টেলিগ্রাফ-এর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, গোটা বিশ্বকাপ জুড়ে ২০ হাজার নজরদারি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ফেসিয়াল রেকগনিশন প্রযুক্তিও রয়েছে।
কাতার বিশ্বকাপ কভার করতে গিয়ে এই প্ৰথমবার সাংবাদিক হেনস্থার ঘটনা ঘটল না। এর আগে ড্যানিশ টিভি সাংবাদিককে লাইভ অনুষ্ঠানে হুমকি দিয়েছিলেন কাতারের পদস্থ আধিকারিক।