টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচেই গোলের লুঠ দেখল বিশ্বকাপ। ইরানকে ৬-২ গোলে বিধ্বস্ত করে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ড। জোড়া গোল করলেন বুকাও সাকা। জুড বেলিংহ্যাম, জ্যাক গ্রিলিশ, রহিম স্টার্লিং, মার্কাস রাশফোর্ডরা গোলবন্যায় ভাসিয়ে দিলেন ইরানকে।
বিরতির আগেই ৩ গোল হজম করে বসে ইরান। ৩৫ মিনিটে বেলিংহ্যাম গোলবন্যার সূচনা করে যান। এরপরে স্টার্লিং, সাকা বিরতির আগে ৩-০ এগিয়ে দেয় ইংল্যান্ডকে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের ইতিহাসে বেনজির ঘটনা! ইংল্যান্ড-ইরান ম্যাচে ১৪ মিনিট এক্সট্রা টাইম, কেন জানুন
ইরান বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচ একাধিক কারণে ম্যাচের আগেই শিরোনামে উঠে এসেছিল। ইংল্যান্ডের ফুটবলাররা 'ওয়ান লাভ' আর্মব্যান্ড পরলেই সাসপেন্ড হওয়ার ঝুঁকি ছিল। অন্যদিকে, ইরান দেশের নারী-আন্দোলনের জন্য কিছু বার্তা দেয় কিনা, সেদিকে নজর ছিল।
হিজাব না পরার অপরাধে দেশের মৌলবাদীদের হাতে প্রাণ গিয়েছিল মাহসা আমিনির। তারই প্রতিবাদে জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন না ইরান ফুটবলাররা। গোটা ঘটনায় ইরানের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টিভি চ্যানেল জাতীয় সঙ্গীতের জন্য লাইন ধরে দাঁড়ানো ফুটবলারদের ফুটেজও সরাসরি সম্প্রচারিত করেনি। এমনটাই খবর রয়টার্সের। এদিকে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দর্শকরা নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে মাঠে প্রবেশ করেন।
এমন ঘটনাবহুল ম্যাচেই ইরানকে বিশ্বমঞ্চে লজ্জিত হতে হল হাজডজন গোলের মালা পরে। প্রথমার্ধেই ইরানের গোলকিপার আলিরেজা বেইরানভান্দ মাথায় চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন স্ট্রেচারে। সতীর্থ মজিদ হোসেইনির সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে চোট পান তিনি।
বিরতির পরেই আরও একটা গোল করে বুকাও সাকা বড় ব্যবধানে জেতা নিশ্চিত করে যান। ইংল্যান্ডের হয়ে মার্কাস রাশফোর্ড এবং জ্যাক গ্রিলিশ আরও দুটো গোল করার আগে ইরান ব্যবধান কমিয়েছিল পেনাল্টি থেকে গোল করে। সামান্য জার্সি ধরে টানার জন্য পেনাল্টি দেওয়া হয় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সেখান থেকে ইরানের প্ৰথম গোল করে যান মেহেদি তারেমি।
তার আগে ৩২ মিনিটেই প্ৰথম গোল করে ফেলতে পারত ইংল্যান্ড। কিরেন টিপিয়ারের কর্ণার থেকে ইংল্যান্ডকে প্রায় এগিয়ে দিয়েছিলেন হ্যারি ম্যাগুয়ের। তবে সেই যাত্রায় সফল না হলেও ইংল্যান্ডকে প্ৰথম গোল এনে দেন বেলিংহ্যামের হেড। লুক শয়ের ক্রস থেকে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন বেলিংহ্যাম। তারপরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি।
আরও পড়ুন: থেমে থেমে বাফারিং, শব্দ শুনতেই পাওয়া গেল না! বিশ্বকাপ সম্প্রচারে বেনজির রোষের মুখে Jio Cinema
৭১ মিনিটে পরিবর্ত হিসাবে নেমেছিলেন রাশফোর্ড। নেমেই ৭১ মিনিটে ইংল্যান্ডকে চতুর্থ গোল উপহার দিয়ে যান। এরপরে জ্যাক গ্রিলিশ ইংল্যান্ডের হয়ে ষষ্ঠ গোল করে যান।
শেষদিকে স্টপেজ টাইমে ইরানিয়ান মেসি সর্দার আজমৌন আরও একটি গোল পেয়ে যেতে পারতেন। তবে দুর্ধর্ষ সেভ করে যান ইংরেজ গোলকিপার জর্ডন পিকফোর্ড।