বিশ্বকাপ জয়ের পর তা স্মরণীয় করে রাখতে নিজের পায়ে ট্যাটু করিয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ইনস্টাগ্রামে সেই ছবি পোস্ট করতেই নতুন আলোচনার জন্ম দিল। তাঁর নতুন ট্যাটু নিয়ে নয়। গোল্ডেন গ্লাভসজয়ী কিপারের পায়ের আঙ্গুল নতুন করে আলোচনা জোরদার করল।
মার্টিনেজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরির যে ছবি ডেইলি মেইল এবং স্পোর্টস বাইবেল পোস্ট করেছে, তা জুম করলে বোঝা যাচ্ছে এমি মার্টিনেজের পায়ে সবার মত পাঁচ আঙুল নেই, রয়েছে মাত্র চার আঙুল। ক্রিকেটার মার্টিন গাপটিলের মত।
আর্জেন্টিনার তৃতীয়বার বিশ্বকাপ জয়কে স্মরণীয় করে রাখতেই দিবু মার্টিনেজ ট্যাটুতে লিখেছেন, "Que la pasión te lleve a la gloria"। স্প্যানিশ থেকে বাংলায় তর্জমা করলে যা দাঁড়ায়, "প্যাশন তোমাকে গৌরবের জায়গায় পৌঁছে দিক।" পায়ের যে জায়গায় ট্যাটু করেছেন সেই জায়গায় আছড়ে পড়েছিল খেলার একদম শেষ বাঁশি বাজার আগে কোলো মুয়ানির সেই তীব্র গতির সেই শট সেভ করার দৃশ্য এখন আইকনিক রূপ পেয়ে গিয়েছে। যে সেভ লিওনেল মেসিকে তাঁর অপূর্ণ রোম্যান্সের বই পূরণ করতে সাহায্য করেছে।
আরও পড়ুন: ফালতু জিনিসে এনার্জি নষ্ট করি না! মার্টিনেজকে ‘সপাটে চড়’ এবার মেসির ‘বন্ধু’ এমবাপের
বিশ্বফুটবলের নতুন টাইব্রেকার সম্রাট তিনি। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে মাটি ধরানোর পর ফাইনালে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেছেন তিনি। কিংসলে কোমানের শট রুখে দেওয়ার পর মানসিকভাবে দুমড়ে দিয়েছিলেন চুয়ামেনিকে। যাতে চুয়ামেনি বাইরে শট পাঠিয়ে বসেন। টাইব্রেকার শ্যুট আউটে ৪-২ ব্যবধানে ফ্রান্সকে হারানোর পরেই গোল্ডেন গ্লাভস তাঁর হাতে ওঠে।
আরও পড়ুন: দুশ্চরিত্রার ছেলে! মার্টিনেজের মাকে টেনে গাল পাড়তেই ফরাসি তারকাকে ছিঁড়ে খেলেন দি মারিয়া
Fichajes.net-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্টিনেজকে সম্ভবত জানুয়ারির দ্বিতীয় ট্রান্সফার উইন্ডোতেই ছেড়ে দেবেন উনেই এমেরি। আর্জেন্টিনীয় গোলকিপারের টেম্পারমেন্ট এবং ব্যবহারে মোটেই খুশি নন এমেরি। তাই তাঁকে সরিয়ে দিতে চান তিনি। সেভিয়ার মরোক্কান বিশ্বকাপার ইয়াসিন বোনুকে মার্টিনেজের পরিবর্ত হিসাবে ভাবা হচ্ছে।
আস্টন ভিলা ম্যানেজার সাংবাদিকদের জানিয়ে দিয়েছেন, “আবেগ অনেক সময় চেপে রাখা সম্ভব হয়না। পরের সপ্তাহে ওঁর সঙ্গে কথা বলব ওঁর সেলিব্রেশনের ভঙ্গি নিয়ে। তবে ও এখন জাতীয় দলের সঙ্গে রয়েছে। সেই বিষয়টিকে আমি সম্মান করি। ও যখন ক্লাবের সেট আপে যুক্ত হয়ে পড়বে, তখনই ওঁর সঙ্গে কথা বলব। ওঁর জন্য আমরা গর্বিত। জাতীয় দলের হয়ে ও বিশ্বকাপ জিতেছে। এটা দুর্ধর্ষ একটা ব্যাপার।”