/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/02/kolo-muani.jpg)
তাঁর গোলে ফ্রান্স বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে পারত। স্কোরলাইন তখন ৩-৩। নির্ধারিত সময়ের খেলা পেরিয়ে সংযোজিত সময়ের খেলাও অতিক্রান্ত। রেফারির স্রেফ ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজানোর অপেক্ষায় ছিল। সেই সময়েই গোল করে টাইব্রেকারের আগেই ম্যাচ ফিনিশ করে দিতে পারতেন রান্দাল কোলো মুয়ানি।
তবে পারেননি। সামনে আগুয়ান গোলকিপারকে একা পেয়েও জালে বল জড়াতে পারেননি। বিশ্বকাপের ইতিহাসের অন্যতম সেরা সেভের সাক্ষী রেখে কোলো মুয়ানির শট বাঁচিয়ে দেন আর্জেন্টিনীয় গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
আগে থেকেই এন্টিসিপেট করে গোলমুখ ছোট করে এগিয়ে এসেছিলেন মার্টিনেজ। সামনের পোস্টে নিচু শট হাঁকিয়ে ছিলেন ফরাসিদের জার্সিতে পরিবর্ত হিসাবে নামা মুয়ানি। তবে বাঁ পা প্রসারিত করে শট রুখে দিয়েছিলেন গোল্ডেন গ্লাভসজয়ী কিপার। গোল বাঁচানোর সেই দৃশ্য এখন মিথ হয়ে গিয়েছে ফুটবল ইতিহাসের পাতায়। সেই গোল মিস এখনও তাড়া করে বেড়ায় মুয়ানিকে।
💔🇫🇷 Randal Kolo-Muani on his last minute chance vs Martínez: "I still have it in my throat, it will stay for life." (beIN FR) pic.twitter.com/oEwsbhVWRb
— EuroFoot (@eurofootcom) February 2, 2023
বেইন স্পোর্টস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোলো মুয়ানি সম্প্রতি বলে দিয়েছেন, "এখনও ওই দৃশ্য দেখি। হৃদয় থেকে গোটা ঘটনা মনে রেখেছি। মাথায় ওই সময় একটাই আওয়াজ এসেছিল, রান্দাল, তোমাকে এখনই শ্যুট করতে হবে। সামনের পোস্টে শট নিতে চেয়েছিলাম। তবে গোলকিপার দুর্ধর্ষ সেভ করে গেল। তবে আমার কাছে অন্যান্য অপশনও ছিল। আমি স্রেফ লব করে দিতে পারতাম। বাঁ দিকে দাঁড়িয়ে থেকে কিলিয়ানকে পাস বাড়াতে পারতাম। তবে সেই সময় আমার নজরে পড়েনি কিলিয়ান। পুরো ঘটনা ফিরে ফিরে তাকালে মনে হয় অনেক তো অপশন ছিল! তবে সেটা বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছে। এটা এখনও আমার গলায় আটকে রয়েছে। সারা জীবন এই মিস গলায় আটকেই থাকবে।"
এক্সট্রা টাইমে মার্টিনেজের সেভ ম্যাচ টাইব্রেকারে পৌঁছে দেয়। আলবিসিলেস্তে ব্রিগেড শেষ পর্যন্ত মার্টিনেজের হিরোগিরিতে ভর করে টাইব্রেকার শ্যুট আউটে ৪-২ গোলে জয় ছিনিয়ে নেয়। ১৯৮৬-র বিশ্বকাপ ট্রফি জিতে নেয় মেসির আর্জেন্টিনা। ফ্রান্স অন্যদিকে, ব্রাজিলের (১৯৫৮, ১৯৬২) পর দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপ ডিফেন্ড করার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে।
Read the full article in ENGLISH