বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কুখ্যাত রেফারি হিসাবে নাম কুড়িয়েছিলেন। আর্জেন্টিনা বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচে ১৬ কার্ড দেখিয়ে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন মাতেউ লাহুজ।
বিশ্বকাপ শেষ হলেও নিজের কার্ড দেখানোর সেই সুনাম বজায় রাখলেন স্প্যানিশ রেফারি। লা লিগায় খেলা ছিল বার্সেলোনা বনাম এস্প্যানিওলের মধ্যে। সেই ম্যাচেই তিনি ফের ১৭ কার্ড বের করলেন। ১৫ হলুদ কার্ড, ২ টো লাল কার্ড দেখালেন তিনি। একজন ম্যানেজারকেও বুকড করলেন তিনি।
বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ১৮ কার্ড দেখানোর পর প্রবল সমালোচিত হয়েছিলেন। এমনকি ফিফার তরফেও টুর্নামেন্টের মাঝপথে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। আর্জেন্টিনীয় রেফারি এমি মার্টিনেজ তাঁকে 'অপদার্থ' বলে দেন।
তবে তাতেও তাঁকে থামানো গেল না। বার্সেলোনা এবং এস্প্যানিওল ম্যাচে দুই দলকেই ১০ জনে খেলতে বাধ্য করলেন তিনি।
ম্যাচে বার্সেলোনার সাতজন ফুটবলারকে কার্ড দেখালেন। জর্দি আলবা লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে গেলেন। ছয় জন এস্প্যানিওল প্লেয়ার কার্ড হজম করলেন। দুটো হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন এস্প্যানিওল তারকা ভিনিসিয়াস সৌজা। ম্যাচের আগেই বার্সা ম্যানেজার জাভি জানিয়েছিলেন রেফারি হিসাবে লাহুজকে পছন্দ করেন তিনি। তবে তিনিও রেফারির কার্ডের ধাক্কা এড়াতে পারলেন না। ক্যাম্প ন্যু-তে অতিরিক্ত সময়ে কার্ড দেখলেন তিনি।
বার্সা কিংবদন্তি জাভি ম্যাচের আগে বলেন, "আমাকে বহুবার ও কার্ড দেখিয়েছেন। উনি প্রচুর কথা বলেন। এটা একটা সদর্থক বিষয়। রেফারি একজন বিচারকের মত যাঁর নার্ভাসনেস মানায় না। উনিও সেরকম। একজন রেফারি হওয়া মোটেই সহজ নয়।"
ম্যাচে কার্ড দেখে জাভি অবশ্য প্রশংসার পথে হাঁটেননি। সমালোচনা করে পাল্টা বলে দিয়েছেন, "ম্যাতেউ ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিতে চান। দাপট দেখান। আজ তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। আজ উনি প্রচুর কার্ড বের করলেন। সেটাই ওঁকে বলতে গিয়েছিলাম। ওঁর একজন বিচারক হওয়া উচিত। আজ উনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন।"
ম্যাচে বার্সেলোনা ১-১ গোলে ড্র করল এস্প্যানিওলের সঙ্গে। এই নিয়ে লা লিগায় তিন নম্বর বার পয়েন্ট নষ্ট করল বার্সেলোনা। রিয়েল মাদ্রিদের সঙ্গে ৩৮ পয়েন্টে বার্সা যুগ্মভাবে শীর্ষে। যদিও গোল পার্থক্য এগিয়ে রয়েছে রিয়েল মাদ্রিদ।