বিতর্ক এবং বিশ্বকাপ সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্টেডিয়ামে মদ্যপান নিষিদ্ধ করা হোক বা নারীদের পোশাক-আশাক সংক্রান্ত নিয়মাবলী চাপিয়ে দেওয়া। কাতার বিশ্বকাপ প্ৰথম দিন থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। সমকামিতা বিষয়ক কাতারি মন্ত্রীর মন্তব্য হোক বা পরিযায়ী শ্রমিকদের দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন, ভুয়ো ফুটবল সমর্থক আমদানির মত ভয়ংকর অভিযোগে বিদ্ধ হতে হয়েছে কাতারকে।
তবে ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে প্ৰথম ম্যাচ খেলতে নামার ঠিক কয়েক ঘন্টা আগে যে অভিযোগ উঠল, তাতে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে বিশ্বজুড়ে। উদ্বোধনী ম্যাচে জয়ের জন্য ইকুয়েডরের বেশ কয়েকজন ফুটবলারদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠে গেল কাতারের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: আলোর রোশনাই, BTS-ম্যাজিক! কাতারে বিশ্বকাপ উদ্বোধনে চমকের পর চমক, কখন-কোন চ্যানেলে দেখবেন
রবিবার সাত-সকালে প্রবল ভূমিকম্প ঘটিয়ে দেয় আমজাদ ত্বহার এক বিষ্ফোরক টুইট। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং সৌদি আরবের ব্রিটিশ সেন্টারের আঞ্চলিক ডিরেক্টর আমজাদ ত্বহা বেনজিরভাবে টুইট করে জানিয়ে দিলেন, ইকুয়েডরের আট ফুটবলারকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে কাতারের বিরুদ্ধে। যাতে ইকুয়েডর ইচ্ছা করে ম্যাচ হারে।
বিধ্বংসী সেই টুইটের বয়ান, "ব্রেকিং: আটজন ইকুয়েডরের ফুটবলারদের ৭.৪ মিলিয়ন ইউএসডি ঘুষ দিয়েছে কাতার যাতে তাঁরা দ্বিতীয়ার্ধে ০-১ ব্যবধানে হারে। পাঁচজন কাতারি এবং ঘনিষ্ঠ সূত্রের মাধ্যামে এই খবর যাচাই করা হয়েছে। আশা করি এটা মিথ্যা হবে। এই ঘটনা শেয়ার করলেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে বিশ্বের উচিত ফিফার দুর্নীতি নিয়ে সরব হওয়া।"
এমনিতেই কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। ইউরোপের একাধিক শীর্ষ সারির ফুটবল-খেলিয়ে দেশের আপত্তি ছিল কাতারের হাতে বিশ্বকাপ সমর্পণ করার। ইউরোপ এবং লাতিন আমেরিকা সরব হলেও শ্যেপ ব্লাটার নিজের প্রভাব খাটিয়ে এশিয়া, কনকাকাফ এবং আফ্রিকার দেশগুলির ভোট আদায় করে কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজনের পথ মসৃণ করেন বলে অভিযোগ। ঘুষ নেওয়ার অপরাধে ব্লাটার সহ একাধিক ফিফা কর্তাদের গ্রেফতারও হতে হয়।
আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তে আয়োজক কাতারের U-টার্ন! বিশ্বকাপে কোটি কোটি ডলার ক্ষতির আশঙ্কায় ঘুম উড়ল FIFA-র
এরকম পরিস্থিতিতে যদি উদ্বোধনী ম্যাচে ঘুষের ঘটনা প্রমাণ হয়ে যায়, তাতে ফিফা বিশ্বকাপ ইতিহাসের নিকৃষ্টতম লজ্জার নজির গড়বে, এই বিষয়ে সন্দেহ নেই।