ইংল্যান্ড: ১ (হ্যারি কেন-পেনাল্টি)
ফ্রান্স: ২ (চুমেনি, জিরু)
জিরু, অরেলিয়েন চুমেনির গোলে ভর করে ফ্রান্স কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিল। এল বায়েত স্টেডিয়ামে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা হাফটাইমের আগেই লিড নেয় চুমেনির দুর্ধর্ষ স্ট্রাইক থেকে। বক্সের বাইরে ২৫ গজ দূরত্ব থেকে গোল করে যান রিয়েল মাদ্রিদের এই মিডিও।
চুমেনির সৌজন্যেই ম্যাচে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। বিরতির পরে বক্সের মধ্যে বুকেয়া সাকাকে ফাউল করে বসেন তিনি। সেই পেনাল্টি থেকেই গোল করে যান হ্যারি কেন।
আরও পড়ুন: রোনাল্ডোর স্বপ্ন দুমড়ে মুচড়ে দিল নির্মম মরক্কো! বিশ্বকাপ ‘লাল কার্ড’ দেখালো পর্তুগালকেও
ফ্রান্সের এরপরেই ত্রাতা হয়ে ওঠেন তাঁদের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ গলস্কোরার অলিভিয়ের জিরু। গ্রিজম্যানের ক্রস থেকে দুর্ধর্ষ হেডে ইংল্যান্ডকে ২-১'এ পিছিয়ে দেন। নিয়মিত সময়ের খেলা শেষ হতে তখন বাকি মাত্র ১২ মিনিট।
ম্যাচের শেষলগ্নে ইংল্যান্ড পেনাল্টিও আদায় করে নিয়েছিল। পরিবর্ত হিসাবে নামা ম্যাসন মাউন্টকে ফাউল করে বসেন থিও হার্নান্দেজ। তবে এবারের পেনাল্টি আর কাজে লাগাতে পারেননি ক্যাপ্টেন কেন। পোস্টের ওপর দিয়ে সোজা ছক্কা হাঁকিয়ে দেন সুপারস্টার। ক্লাব সতীর্থ হুগো লরিসই শেষ হাসি হাসেন।
সবমিলিয়ে ক্রোয়েশিয়া, আর্জেন্টিনা, মরক্কোর পর চতুর্থ দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিতে পৌঁছে গেল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। মরক্কোর বিরুদ্ধে জিতলেই ফাইনাল।
আরও পড়ুন: লাথালাথি থেকে হাতাহাতি! ভয়ঙ্কর কাণ্ডে উত্তাল আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচ! দেখুন চরম ভিডিও
ম্যাচের পর জিরু জানিয়ে দিয়েছেন, "অসাধারণ। নিজেদের ওপর বিশ্বাস রেখে যেতে হবে। আমরা জানতাম গোলের আরও সুযোগ আসবে। দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে ভাল লাগছে। খুব ভালো লাগছে। ২০১৮-র কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। আমি আরও এগোলাম।"
কাইল ওয়াকার বলছেন হেরে গেলেও দলের পারফরম্যান্সে অনেক পজিটিভ বিষয় রয়েছে। "এটাই ফুটবল। বল জালে জড়াতে হয়। আমরা নিঃসন্দেহে হতাশ। যে দল রয়েছে আমাদের, তা স্পেশ্যাল। আমাদের গোলের শট দেখা হোক। ছেলেরা দারুণ খেলেছে। গেমপ্ল্যান আমরা মাঠে নেমে কাজে লাগিয়েছি। ফ্রান্সের তুলনায় আমাদের বল পজেশনও বেশি ছিল। তবে বক্সে সপ্রতিভ হওয়াটাই ফারাক গড়ে দেয়।"