নির্ধারিত সময়ে খেলা শেষ হতে তখন মাত্র ছয় মিনিট বাকি। সেই সময় ১-২ গোলে পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ড লাইফলাইন পেয়েছিল পেনাল্টিতে। পরিবর্ত হিসাবে নামা ম্যাসন মাউন্টকে বক্সের মধ্যে থিও হার্নান্দেজ ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড।
তবে টুর্নামেন্টে বেঁচে থাকার সেই লাইফলাইন হেলায় পোস্টের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দেন হ্যারি কেন। ক্রসবারের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকানো শট সোজা গ্যালারিতে পৌঁছে যায়। আর হ্যারি কেন যখন হতাশায় নিমজ্জিত, জার্সি মুখে তুলে নিজেকে আড়াল করছেন, সেই সময়েই ক্যামেরা তাক করল কিলিয়ান এমবাপের দিকে।
আরও পড়ুন: রোনাল্ডোকে বাদ দেওয়া ঠিক সিদ্ধান্ত! বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েই বিষ্ফোরণ পর্তুগাল কোচ স্যান্তোসের
ফরাসি সুপারস্টারকে দেখা যায় ইংল্যান্ডের পেনাল্টি মিসের সেলিব্রেশন করছেন অট্টহাসিতে। সেই হাসি ম্যাচের পরেই ভাইরাল। হ্যারি কেন তখন হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়েছেন। সেমিফাইনালে পৌঁছনোর এত কাছাকাছি এসেও এভাবে যে সুযোগ মুখ ফিরিয়ে নেবে ভাবতেই পারেননি।
ঘটনাচক্রে হ্যারি কেনের পেনাল্টি গোল থেকেই ইংল্যান্ড সমতা ফিরিয়েছিল ম্যাচের একটা সময়ে। প্ৰথম গোল করার তিরিশ মিনিট পরে জাতীয় খলনায়ক তিনি।
আল বায়েত স্টেডিয়ামে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা হাফটাইমের আগেই লিড নেয় চুমেনির দুর্ধর্ষ স্ট্রাইক থেকে। বক্সের বাইরে ২৫ গজ দূরত্ব থেকে গোল করে যান রিয়েল মাদ্রিদের এই মিডিও। চুমেনির সৌজন্যেই ম্যাচে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। বিরতির পরে বক্সের মধ্যে বুকেয়া সাকাকে ফাউল করে বসেন তিনি। সেই পেনাল্টি থেকেই গোল করে যান হ্যারি কেন।
আরও পড়ুন: রোনাল্ডোর স্বপ্ন দুমড়ে মুচড়ে দিল নির্মম মরক্কো! বিশ্বকাপ ‘লাল কার্ড’ দেখালো পর্তুগালকেও
ফ্রান্সের এরপরেই ত্রাতা হয়ে ওঠেন তাঁদের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ গোলস্কোরার অলিভিয়ের জিরু। গ্রিজম্যানের ক্রস থেকে দুর্ধর্ষ হেডে ইংল্যান্ডকে ২-১’এ পিছিয়ে দেন। এই ফলাফলই ম্যাচের শেষ পর্যন্ত বজায় থাকে।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ফ্রান্সকে খেলতে হবে অবিশ্বাস্য ফর্মে থাকা মরক্কোর বিরুদ্ধে। অন্য সেমিফাইনালে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা এবং ক্রোয়েশিয়া।