মরক্কো: ১ (এল নাসেরি)
পর্তুগাল: ০
২৪ ঘন্টা আগেই বিশ্বকাপ বিদায়ের চিঠি লিখে দিয়েছিল নেইমার জুনিয়রকে। কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছিলেন ব্রাজিলের বর্তমান ফুটবলের পোস্টার বয়। এবার নেইমারের স্বপ্নভঙ্গের শরিক হলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোও। মরোক্কার কাছে হেরে বিদায় ঘটে গেল টুর্নামেন্টের অন্যতম এক ফেভারিটদের।
রোনাল্ডোর বিদায় নিশ্চিত করে দেওয়ার মঞ্চেই ইতিহাস গড়ে ফেলল মরক্কো। প্ৰথম কোনও আফ্রিকান দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল মরক্কো। আল থামুমলাম স্টেডিয়ামে আগাগোড়া প্রাধান্য বজায় রেখে গেলেও পর্তুগাল গোল করতে পারল না। ম্যাচে ফারাক গড়ে দিল বিরতির ঠিক আগে ৪২ মিনিটে ইউসেফ এন নাসেইরি। একমাত্র গোলই ভেঙেচুরে দিল সিআরসেভেনের বিশ্বকাপের স্বপ্ন।
আগের ম্যাচের মতই রোনাল্ডোকে বেঞ্চে বসিয়ে দল সাজিয়েছিলেন পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস। সুইজারল্যান্ডকে রোনাল্ডোর কোনও অবদান ছাড়াই দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছিল পর্তুগিজরা। মরক্কো ম্যাচে অবশ্য সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল না।
আরও পড়ুন: লাথালাথি থেকে হাতাহাতি! ভয়ঙ্কর কাণ্ডে উত্তাল আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচ! দেখুন চরম ভিডিও
৪২ মিনিটে ইয়াইয়া অতিহা আলার ক্রস দুর্ধর্ষ ভাবে হেডে জালে জড়ান মরক্কোর ইউসেফ এন নাসেরি। দিয়েগো কোস্তার মার্কিংয়ের ভুলের খেসারত দিয়ে গোল হজম করে বসেছিল পর্তুগাল। এরপরে গোটা ম্যাচ জুড়েই পর্তুগালের মরিয়া হয়ে গোল শোধের চেষ্টা এবং মরোক্কান ডিফেন্সের লড়াই! মাঝেমাঝে কাউন্টার এটাকে পর্তুগাল বক্সে মরোক্কান হানা দেওয়া- আর কিছুই নয়। গোলহজম করার পরেই পর্তুগাল সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল ব্রুনো ফার্নান্দেজের দুর্ধর্ষ ভলি থেকে। তবে সেই হাফ-ভলি ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়ে যায়।
রোনাল্ডোকে বাধ্য হয়ে কোচ দ্বিতীয়ার্ধের ছয় মিনিটের মাথায় নামান কোচ। তবে রিকার্ডোকে একটা পাস বাড়ানো বাদে সেভাবে ম্যাচে প্রভাব ফেলতে পারেননি। ৮৩ মিনিটে জোয়াও ফেলিক্স দুর্ধর্ষ জোরালো শটে প্রায় সমতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে ইয়াসিন বোনু আরও একবার লেভ ইয়াসিন হয়ে উঠে সেভ করে যান।
শেষদিকে উত্তেজনার সঞ্চার ঘটিয়ে লাল কার্ড দেখিয়ে রেফারি বের করে দেন মরোক্কার ওয়ালিদ ছেদিরাকে। ১০ জনের মরক্কোকে শেষ কয়েক মিনিটের জন্য পেয়েও গোল শোধ করতে পারেনি পর্তুগাল। সবথেকে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড এতদিন ছিল কুয়েতের বাদার আল মুটাওয়ার। শুক্রবার রাতে সেই রেকর্ড ভেঙে রোনাল্ডো ১৯৬তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামলেন। তবে সেই রেকর্ড গড়ার ম্যাচই বেদনার হয়ে থাকল শেষ পর্যন্ত।