প্রতি গোলের পরেই চলছিল কোমড় দোলানো। গোলদাতা শুরু করেছিলেন সেলিব্রেশন। তারপরে তাতে যোগ দিচ্ছিলেন সতীর্থরা। দক্ষিণ কোরিয়ার জালে চার-বার বল জড়িয়ে চারবার-ই সাম্বা-নৃত্য দেখা গেল স্টেডিয়াম ৫৭৬-এ।
আর এতেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল ব্রাজিল। আইরিশ কিংবদন্তি রয় কিন সরাসরি এই ব্রাজিলীয় নৃত্যকে 'অসম্মানজনক' বলে দিলেন। সেই সঙ্গে ব্রাজিল কোচ তিতেকেও একহাত নিলেন কিন।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় বলির পাঁঠা হচ্ছেন দ্রাবিড়! নতুন বছর শুরুর আগেই বিরাট ঘোষনার পথে BCCI
সাত মিনিটে রাফিনহার ক্রস থেকে প্ৰথম গোল করেছিলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। রিচার্লিসন এরপরে পাসিং ফুটবলের ঝলক দেখিয়ে ক্লোজ রেঞ্জ থেকে গোল করে যান। নেইমারের পেনাল্টি গোলের পর লুকাস পাকুয়েতা বিরতির আগেই ৪-০ করে যান।
আর প্রত্যেক গোলের পরে ব্রাজিলের সেলিব্রেশন হচ্ছিল বিভৎস নাচে। রিচার্লিসনের পিজিয়ন ডান্সে অংশ নিচ্ছিলেন কোচ তিতেও। এতেই ক্ষিপ্ত রয় কিন বলে দিয়েছেন, "এটা ভাল লাগছে না। এটা অনেকটা প্রতিপক্ষকে অসম্মান করার মত। ম্যাচে চারটে গোলের পরেই ওঁরা এরকম করল। এতে আমি অন্তত খুশি নই। বিষয়টি মোটেই ভাল লাগল না।" আইটিভি-তে এরকমটাই জানিয়ে দিয়েছেন রয় কিন।
টিভিতে তাঁর সহ-বিশেষজ্ঞ গ্রেম সৌনেস ব্রাজিলের নাচকে 'লজ্জাজনক' বলে দিয়েছেন। "ওদের ঠিক পথে ফেরাটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।"
আরও পড়ুন: মরু শহরে সাম্বা ঝড়! দুর্ধর্ষ ব্রাজিলে ধুয়মুছে সাফ দক্ষিণ কোরিয়া
সমালোচনার মুখে পড়ে অবশ্য ফুটবলারদের পাশেই দাঁড়িয়েছেন সেলেকাও বস তিতে। "দলের ফুটবলারদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি সবসময়। ওঁরা সকলেই তরুণ। নাচতে, মজা করতে ভালোবাসে। ওঁরা আমাকে বলেছে নাচ শিখতে হবে। এই নাচের স্টেপ অবশ্য বেশ কঠিন। রিচার্লিসনকে এই নাচ শিখিয়ে দেওয়ার কথা জানালাম। ওঁকে বললাম, 'তুই যদি করিস, একমাত্র তবেই আমি করব।' অনেকেই হয়ত বলছেন, এটা অসম্মানজনক। আমদের সবসময় ক্যামেরা তাড়া করছে, সেই সম্পর্কে আমরা ভালমতই ওয়াকিবহাল। কোনওভাবেই যাতে ভুল বার্তা না যায়, সেই সম্পর্কেও আমরা সজাগ ছিলাম।"
রাফিনহা সমালোচনা উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা বলেছেন, "আমরা এটা বারবার করছি। তাই আমাদের যাঁরা পছন্দ করে না, তাঁদের নিয়েই আসল সমস্যা। গোল উদযাপনের প্রতীক এই নাচ। কাউকে অসম্মান করার জন্য এই নাচ নয়। আমরা প্রতিপক্ষের সামনে গিয়ে নাচিনি। আমরা স্রেফ নিজেদের মধ্যে নাচছিলাম। ব্রাজিল সেলিব্রেট করছে। কারণ এটাই আমাদের কাছে আসল মুহূর্ত। যদি কেউ পছন্দ না করে, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা এরকম চালিয়ে যাব।"
আগামী শুক্রবারেই ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনালে নামছে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে।