১৯৫৮-র বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়েছিলেন। ফ্রান্সের কিংবদন্তি জাস্ট ফোঁতেন সেবারের বিশ্বকাপে ১৩ গোল করে ইতিহাসে উঠে গিয়েছিলেন। তিনিই এবার ৮৯ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন। তাঁর প্রাক্তন ক্লাব রেইমসের তরফে ফোঁতেন-এর মৃত্যু সংবাদ সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।
সেবার সুইডেনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্বকাপ। শেষ মুহূর্তে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তারপর বাকিটা ইতিহাস। মাত্র ৬ ম্যাচ খেলেই ১৩ গোলের সিংহাসনে বসে পড়েন তিনি।
আরও পড়ুন: ১.৭৩ কোটির সোনার আইফোন বিশ্বকাপজয়ী ৩৫ আর্জেন্টিনীয়কে! মেসির চোখধাঁধানো উপহারে ছিটকে গেল সবাই
মরোক্কান বংশোদ্ভূত। ফ্রান্সের বাইরে ফোঁতেনের ইউরোপে কোনও পরিচিতিই ছিল না। তবে গোটা বিশ্বকাপ জুড়ে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের নিজের গতি এবং ফিনিশিং স্কিল দিয়ে নাস্তানাবুদ করেন। অনুশীলনে নিজের বুট-ই ছিড়ে ফেলেছিলেন। অন্যের বুট পরে বিশ্বকাপে খেলেই বাজিমাত।
বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান নির্ধারক ম্যাচে ফোঁতেন পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে চার গোল করে যান। পেনাল্টি নিলে সেই ম্যাচেই পাঁচ গোল করে ফেলতে পারতেন। তখনকার যুগে টুর্নামেন্টের সেরা স্কোরারকে গোল্ডেন বুট দেওয়ার রীতি প্রচলিত ছিল না এখনকার মত।
ফোঁতেন-এর ফ্রান্সের স্বপ্নের দৌড় থেমে যায় সেমিফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে। ১৭ বছরের পেলের ব্রাজিল ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল ফ্রান্সকে।
টুর্নামেন্টের প্রতি ম্যাচেই গোল করা ফোঁতেন ব্রাজিলের বিরুদ্ধেও গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। তবে ম্যাচের ফলাফল যখন ১-১ সেই সময় নিজের দলের ডিফেন্ডার রবার্ট জনকয়ে-র সঙ্গে সংঘর্ষে পা ভেঙে যায় তাঁর। ভাঙা পায়েই পেলের সঙ্গে টেক্কা দেওয়ার কাজ চালিয়ে যান মাঠ না ছেড়ে। তবে তাঁর মত দুর্ধর্ষ মানসকিতা প্রদর্শন করতে পারেনি ফ্রান্সের ডিফেন্স।
বিশ্বকাপ কেরিয়ারে সবথেকে বেশি গোলের মালিক মিরোস্লাভ ক্লোজে। চারটে বিশ্বকাপ খেলে ক্লোজে ১৬ গোলের কীর্তি অর্জন করেন। তবে ফোঁতেন একটা বিশ্বকাপেই ১৩ গোলের সৌধ রচনা করে যান। একটি সংস্করণের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক গোলের নজির তাঁর দখলে। তাঁর আগে এক বিশ্বকাপে বেশি গোলের নজির ছিল হাঙ্গেরির স্যান্ডর কোসিচের। ১৯৫৪ বিশ্বকাপে হাঙ্গেরির স্ট্রাইকার ১১ গোল করেছিলেন। সবমিলিয়ে কেরিয়ারে ফোঁতেন ২১৩ ম্যাচে ২০০ গোল করেন। ফ্রান্সের জার্সিতে ২১ ম্যাচে ৩০ গোল তাঁর নামের পাশে।
১৯৬০-এর মার্চে ঘরোয়া ফুটবলে পায়ে বড়সড় চোট পান ফোঁতেন। সেই চোট সারিয়ে আর ফেরা হয়নি ফোঁতেনের। মাত্র ২৭ বছরেই অবসর নিয়ে নেন তিনি।
Read the full article in ENGLISH