বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের পরে কিলিয়ান এমবাপেকে নিয়ে লকার রুমে অপমানজনক গান করতে শোনা গিয়েছিল এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে। এবার আবার এমি মার্টিনেজের সঙ্গী হল এমবাপে। বলা ভালো এমবাপের পুতুল। আর্জেন্টিনায় ফিরে সেলিব্রেশনের জোয়ারে ভাসছেন মেসি-মার্টিনেজরা। সেই বিজয় মিছিলেই এবার এমবাপের পুতুল নজর কেড়ে নিল। আর্জেন্টিনীয় গোলকিপারের হাতে দেখা গেল পুতুল। যে পুতুলে এমবাপের মুখ।
ঘটনাচক্রে, আর্জেন্টিনীয়দের উচ্ছ্বাসের স্রোতে ভাসতে ভাসতে যে বিজয় মিছিল, সেখানে এমি মার্টিনেজ যখন ব্যঙ্গ করছেন এমবাপের পুতুল নিয়ে, ঠিক সেই সময়েই তাঁর পাশে দাঁড়ানো স্বয়ং মেসি। যিনি আবার ফরাসি সুপারস্টারের টিম মেট পিএসজিতে।
বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনার ড্রেসিংরুম সেলিব্রেশনেও কটাক্ষ করে হয়েছিল এমবাপেকে। গানের মাধ্যমে। ট্রফি জয়ের পর ড্রেসিংরুমেই উদ্দাম সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন আর্জেন্টিনীয়রা। আর ড্রেসিংরুমে বিশ্বকাপ জয় উদযাপন করার সময়েই সোনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ কটাক্ষ করেছিলেন কিলিয়ান এমবাপেকে।
আরও পড়ুন: জঘন্যতম বিশ্বকাপ! মেসির হাতে কাপ দেখেই জ্বলে পুড়ে ছারখার রোনাল্ডোর বোন
আর্জেন্টিনীয় ড্রেসিংরুমে সকলে সমস্বরে গাইছিলেন, “এক মিনিট নিস্তব্ধতা…” এমনটা বলেই পজ নিচ্ছিলেন বাকিরা। এমি মার্টিনেজ সেই গানের লাইনের শূন্যস্থান পূরণ করার জন্য গাইছিলেন, “এমবাপের জন্য যে মারা গিয়েছে।”
এমিলিয়ানো মার্টিনেজের সঙ্গে এমবাপের সমস্যার সূত্রপাত বিশ্বকাপ শুরুর আগে। যুদ্ধের শুরুটা করেছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। যিনি গত মার্চে বিষ্ফোরকভাবে বলে দিয়েছিলেন, লাতিন আমেরিকানরা ফুটবলে ইউরোপের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে।
কিলিয়ান এমবাপে বলে দিয়েছিলেন, “ইউরোপে আমাদের সুবিধা হল, আমরা নিজেদের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় খেলে থাকি সবসময়। যেমন লিগ অফ নেশনস। আমরা বিশ্বকাপে পুরোপুরি তৈরি হয়েই নেমেছি। তবে ব্রাজিল, আর্জেন্তিনা সেরকম লেভেলের টুর্নামেন্ট খেলেনি লাতিন আমেরিকায়। ওখানকার ফুটবল এখানকার মত এতটা অগ্রসর নয়। সেই জন্যই গত কয়েকটি বিশ্বকাপের সংস্করণে ইউরোপীয় দলগুলিই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।”
সেই প্রসঙ্গেই এবার ফ্রান্স তারকাকে পাল্টা দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনীয় গোলকিপার এমিলিয়ানো। বলে দেন, যে বিষয়ে এমবাপে জানেন না, সেই বিষয়ে তাঁর চুপ থাকা উচিত, “ফুটবল সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান নেই ওঁর। ও কখনও দক্ষিণ আমেরিকায় খেলেনি। যখন ওঁর এরকম অভিজ্ঞতা নেই, তখন এই বিষয়ে ওঁর কথা না বলাই ভালো। এতে কিছু যায় আসে না। আমাদের বিশ্বে গ্রেট টিম হিসাবেই ধরা হয়।”