প্ৰথম দুই ম্যাচে চির পরিচিত নীল-সাদা জার্সিতে মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। প্ৰথম ম্যাচে সৌদির কাছে এই জার্সিতে হার হজম করেছে লিওনেল মেসির দল। তারপর মেক্সিকো ম্যাচে দুর্ধর্ষ কামব্যাক করেছে এই জার্সিতেই। তবে গ্রুপের শেষ ম্যাচে নীল-সাদা জার্সি নয় বরং নেভি ব্লু জার্সিতে পাওয়া গেল মেসি-দি মারিয়াদের।
মরণ-বাঁচন পোল্যান্ড ম্যাচেই এই নীল জার্সিতে ঝড় তুলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষমেশ শেষ ষোলোয় পৌঁছে গেল আর্জেন্টিনা। এই প্ৰথমবার অফিসিয়াল কোনও ম্যাচে বেগুনি রঙের জার্সি পরলেন মেসিরা। এর আগে প্রীতি ম্যাচে সেপ্টেম্বরে হন্ডুরাসের বিপক্ষে এবং নভেম্বরে বিশ্বকাপে নামার আগে আমিরশাহির বিপক্ষে এই রংয়ের জার্সিতে মাঠে নেমেছিলেন আলবিসিলেস্তে ব্রিগেড।
আরও পড়ুন: বাগান কোচের হাতেই তৈরি রিচার্লিসন সহ তিতের ৫ সুপারস্টার! বিশ্বকাপেই সবুজ-মেরুনের ব্রাজিল কানেকশন
আসলে লিঙ্গ সাম্যের বার্তা দিতেই বুধবার বিশ্বকাপের ময়দানে আর্জেন্টিনা আবির্ভূত হয়েছিল নতুন অবতারে। মেসিদের অফিসিয়াল স্পনসর এডিডাস। বিশ্বকাপে নামার আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল বিশ্বের কাছে লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আর্জেন্টিনা দলের হাতিয়ার হবে এই বেগুনি জার্সি। এডিডাস এর আগে জানিয়েছিল এই রঙ লিঙ্গ সাম্যের বার্তা বহন করে।
আর্জেন্টিনার জাতীয় পতাকায় জ্বলন্ত পতাকার প্রতীক রয়েছে। সেই 'সান অফ মে'-র অনুপ্রেরণাও রয়েছে আর্জেন্টিনার এই বিকল্প জার্সিতে। জার্সিতে গ্রাফিক্সে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সেই সূর্যের আগুনে রূপ। জানা গিয়েছে, এই জার্সির মডেল ডিজাইন করেছেন খোদ মেসি নিজে।
আরও পড়ুন: লেওয়ানডস্কিদের থেঁতলে দিয়ে নকআউটে আর্জেন্টিনা, থ্রিলারে হেরেও বাজিমাত পোল্যান্ডের
এডিডাস আর্জেন্টিনার জেনারেল ম্যানেজার পাবলো লামো এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, "জাতীয় দলের নতুন এওয়ে জার্সি লিঙ্গ সাম্যের কথা ভেবে ডিজাইন করা হয়েছে। বৈচিত্র্য এবং অন্তর্নিবেশকে আমাদের ব্র্যান্ড বরাবর প্রমোট করে। সেই মূল্যবোধ এখানেও ধরে রাখা হয়েছে। খেলাধুলার মাধ্যমে আমরা মানুষের জীবন-যাপনে বদল আনতে পারি। বাস্তবকে মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য ফুটবল আদর্শ মাধ্যম।"