ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে স্বপ্নের জয় এসেছে। জয়ের নায়ক সেই একমেবাদ্বিতীয়ম মেসি। আর মাত্র একটা ম্যাচ। সেই ম্যাচ জিতলেই ম্যাজিজিয়ান মেসির শ্রেষ্ঠত্বে সরকারি সিলমোহর পড়বে। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে জিতলেই ছুঁয়ে ফেলবেন অধরা সেই শৃঙ্গ।
তবে বিশ্বকাপের ফাইনাল-ই কি মেসির শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতে চলেছে? সেই জল্পনাই এবার জোরালো। পাঁচটা বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে টুর্নামেন্টে সবথেকে বেশি ম্যাচ খেলার নজির আপাতত মেসির (৩৫টি)। লোথার ম্যাথিউজকে পেরিয়ে গেলেন তিনি। সেই সঙ্গে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে টপকে বিশ্বকাপের মঞ্চে আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলস্কোরারও তিনি। পেনাল্টি গোলের পরে মেসির বিশ্বকাপ গোল দাঁড়াল ১১টিতে।
আরও পড়ুন: ওটা পেনাল্টি ছিলই না! হারের পরেই ইতালিয়ান রেফারিকে ‘জঘন্যতম’ বলে দিলেন মদ্রিচরা, দেখুন ভিডিও
তবে রেকর্ডের মঞ্চেই হাতছানি দিচ্ছে আন্তর্জাতিক অবসর। আর্জেন্টিনীয় মিডিয়া দারিও দিপর্তিভো ওলে-কে মেসি বলে দিয়েছেন, "এরকম কৃতিত্বের সাক্ষী থাকতে পেরে দুর্ধর্ষ লাগছে। বিশ্বকাপ জিতেই বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করতে চাই। সামনের বিশ্বকাপ আরও বেশ কয়েকবছর। মনে হয়না অতদূর টানতে পারব। এভাবেই শেষ করাটা দারুণ হবে।"
বেশ কিছু আন্তর্জাতিক প্রচারমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিশ্বকাপ ফাইনাল স্রেফ তাঁর বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ নয়, কেরিয়ারেরও শেষ ম্যাচ হতে চলেছে। সেই ইঙ্গিত নাকি দিয়েছেন মেসি নিজেই।
লুসেইল স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়াকে হারানোর পরেই আর্জেন্টিনীয়রা মাঠে উল্লাস শুরু করে দিয়েছিলেন। ম্যাচের পরে মেসি বলে দিয়েছেন, "অসম্ভব একটা অভিজ্ঞতা। বেশ কিছুদিন ধরেই এরকম অনুভব করছি। বিশ্বকাপ যাত্রার শুরু থেকেই আমরা নিজেদের নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে আমরা টুর্নামেন্টে অনেকদূর এগোব। সৌদি আরবের কাছে হারের পরে ছেলেদের আত্মবিশ্বাস যাতে ঠিক থাকে, সেই চেষ্টা করে গিয়েছি। আমরা আরও একবার ফাইনালে নেমে নিজেদের উপভোগ করব।"
আর্জেন্টিনীয় ক্যাপ্টেন আরও বলেছেন, "আমরা ফাইনালে পৌঁছব, এই বিষয়ে আমরা নিশ্চিত ছিলাম। কাউকে সহজে যে আমরা ছেড়ে দেব না, সেটাও ঠিক হয়ে গিয়েছিল। খেতাব দখলের জন্য আমরা ফেভারিটদের তালিকায় শীর্ষে ছিলাম না। হারের পর বিরাট সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল দল। তবে আমরা সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছি।"
"নিজের পরিবারের কথা সবসময় মনে পড়ছে। ওঁরা সেরা। কঠিন সময় হোক বা ভালো সময়- ওঁরা বরাবর আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। আর্জেন্টিনায় বোধহয় পাগলামো শুরু হয়ে গিয়েছে।"
২০১৪-য় বিশ্বকাপের ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। রবিবার মহারণ জিতে সেই অভিশাপের শাপমোচন করতে পারবে নীল-সাদা জার্সিধারীরা? দেখা যাক।