রেফারিং বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না আর্জেন্টিনার। নেদারল্যান্ডস ম্যাচে বিতর্কিত ধাক্কাধাক্কির দৌলতে রেফারি একের পর এক হলুদ কার্ড বের করে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। ম্যাচের পরেই লাহুজকে একহাত নেয় আর্জেন্টিনীয় শিবির। সেমিফাইনালে এবার রেফারির বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর তোপ দাগল ক্রোয়েশিয়া।
প্রথমার্ধে ৩৪ মিনিটে হুলিয়ান আলভারেজের দৌলতে পেনাল্টি আদায় করে নেয় আর্জেন্টিনা। সেখান থেকে নীল-সাদা জার্সিধারীদের এগিয়ে দিয়েছিলেন মেসি। তবে ক্রোয়েশিয়া সেই রেফারিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। ক্যাপ্টেন লুকা মদ্রিচ ইতালিয়ান রেফারি ড্যানিয়েল ওরসাতোকে 'জঘন্যতম' বলে দিলেন ম্যাচের পরে। ম্যাচের পর ক্রোট সুপারস্টার বলছিলেন, "পেনাল্টি দেওয়া পর্যন্ত আমরা ভালোই খেলছিলাম। যেটা আমার মত মোটেই পেনাল্টি দেওয়া উচিত হয়নি। আমি সাধারণত রেফারিকে নিয়ে মন্তব্য করি না। তবে এদিন নিজেকে সামলাতে পারলাম না। অন্যতম জঘন্য রেফারি উনি। স্রেফ এদিনের ঘটনার জন্য বলছি না। আগেও ওঁর রেফারিংয়ে খেলেছি। কখনই ভালো অভিজ্ঞতা হয়নি।"
এখানেই না থেমে ক্রোয়েশিয়ার বিখ্যাত এলএমটেন আরও বিষ্ফোরকভাবে বলে দিয়েছেন, "উনি সত্যিই ভয়ঙ্কর। আর্জেন্টিনাকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। ওঁদের কৃতিত্ব খর্ব করতে চাই না। ওঁরা ফাইনালে খেলার মতই খেলেছে। তবে প্ৰথম পেনাল্টিটা আমাদের ধ্বংস করে দিল।"
এমনকি ক্রোয়েশিয়ার কোচ ডালিচ-ও রেফারিকে তুলোধোনা করেছেন। ম্যাচের পরে ইতালিয়ান রেফারিকে নিশানা বানিয়ে তিনি বলে দিয়েছেন, "আমরাই বল পজেশনে এগিয়ে ছিলাম। তবে হঠাৎ একটা গোল হজম করতে হল আমাদের। যেটা পুরোপুরি বিতর্কিত। আমরা কর্ণারও পাইনি নি। খেলা চালিয়ে যাওয়া হল। লিভাকোভিচ আর কী করতে পারত। ওঁর রাস্তা থেকে সরে গিয়ে গোল করতে দেওয়া? প্ৰথম গোলই আমাদের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিল।"
"সেই গোল হজম করা পর্যন্ত ম্যাচে পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণ ছিল। আমরা নিখুঁত এবং বিপজ্জনক ছিলাম না বটে, তবে প্ল্যান অনুযায়ী আমরা খেলছিলাম। তারপরে আমাদের কর্ণার দেওয়া হল না। তারপরে কাউন্টার এটাকে আমাদের গোলকিপারকে আঘাত করা হল। এটা কি ফুটবলের নতুন নিয়ম? এটাই তো ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিল!"
আরও পড়ুন: হাত মেলাতে গিয়ে মেসির কাছে অসম্মানিত! ডাচ তারকা বিষ্ফোরকভাবে জানালেন ঝামেলার জন্য দায়ী কে
"যদি এরকম কিছু নতুন নিয়ম হয়ে থাকে, আমাদের জানানো হোক। আর্জেন্টিনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে আমাদের ছেলেরা যা খেলেছে তাতে ওঁদেরও অভিনন্দন প্রাপ্য। এই হার কাটিয়ে উঠতে হবে আমাদের।"
আর্জেন্টিনা ফাইনালে ফ্রান্স অথবা মরক্কোর মুখোমুখি হবে। তৃতীয় স্থান দখলের লড়াইয়ে নামবে ক্রোয়েশিয়া।