নাতি একের পর এক ম্যাচে নেমেই কীর্তির সৌধ গড়ছেন। আর আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে সেলিব্রেশন পর্ব চলছে চুটিয়ে। মেসির ঠাকুমার বাড়ির সামনে তো মেলাই বসে গিয়েছে আর্জেন্টিনীয় সমর্থকদের। ক্রোয়েশিয়াকে আর্জেন্টিনা ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করার পরেই সমর্থকদের ভালোবাসার অত্যাচার আছড়ে পড়ল মেসির ঠাকুমার বাড়ির সামনে। ফক্স সকারে সেই ভাইরাল ভিডিও আপাতত বিশ্বকাপে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে।
১৯৯৮ সালে মেসির ঠাকুমা সেলিয়া ওলিবেইরা প্রয়াত হন। প্রয়াত ঠাকুমাকে সম্মান জানানোর জন্যই মেসি গোলের পর দু-হাত তুলে আকাশে হাত প্রসারিত করেন। ঠাকুমাই তাঁর অনুপ্রেরণা। একাধিকবার এই কথা জানিয়েছেন মহাতারকা।
আরও পড়ুন: একের পর এক ফ্রান্স তারকা হয়ত নেই ফাইনালে, ব্যাপক সুসংবাদে খুশির ঢেউ মেসিদের
মেসি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, "চার বছর বয়স থেকে ক্লাবে ফুটবল খেলা শুরু করি। সেই সময় সেই ক্লাবের সকলের এক বছর বেশি বয়স ছিল। একবার একজন ফুটবলারের ঘাটতি হচ্ছিল। সেই সময় আমার ঠাকুমা কোচকে বলেন, লিওকে নাও! কোচ বারবার বলতেন, 'ও বড্ড ছোট।' তবে ঠাকুমা নাছোড় হয়ে খেলানোর কথা বলে যেতেন।"
ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে সেরার সেরা পারফর্ম করেছেন লা পুলগা। নিজে পেনাল্টি থেকে গোল করেছেন। বাকি দুই গোলের পাসও এসেছে তাঁর পা থেকে।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনীয় মিডিয়াই আগুন লাগিয়েছে, মেসির বিস্ফোরণের পরে ফের ভয়ঙ্কর অভিযোগ ডাচ কোচের
পাঁচটা বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে টুর্নামেন্টে সবথেকে বেশি ম্যাচ খেলার নজির আপাতত মেসির (৩৫টি)। লোথার ম্যাথিউজকে পেরিয়ে গেলেন তিনি। সেই সঙ্গে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে টপকে বিশ্বকাপের মঞ্চে আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলস্কোরারও তিনি। পেনাল্টি গোলের পরে মেসির বিশ্বকাপ গোল দাঁড়াল ১১টিতে। ফাইনালে গোল করলে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন: মেসির আর্জেন্টিনা দলে কেন একজনও নেই কালো ফুটবলার! ভয়ঙ্কর সত্যিটা জানলে শিউরে উঠবেন
২০১৪-য় বিশ্বকাপের ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মহানায়কের। রবিবার মহারণ জিতে সেই অভিশাপের শাপমোচন করতে পারবেন নীল-সাদা জার্সির ছোট্ট ম্যাজিশিয়ান? দেখা যাক।