কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে গিয়ে ভয়ংকর সমস্যার মুখে পড়ে গেল ফিফা। বিশ্বকাপের অন্যতম স্পনসর বিয়ার সংস্থা বাডওয়াইজের। তবে কাতার বিশ্বকাপের আয়োজক কর্তৃপক্ষ আটটি ভেন্যুতেই বিয়ার পান নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে চলেছে। এমনকি স্টেডিয়ামের বাইরে বাডওয়েইজারের যে বিজ্ঞাপনী কাটআউট ছিল, সেগুলোও কম দৃশ্যমান স্থানে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে
এতেই ক্ষিপ্ত হয়েছে বাডওয়াইজের। দ্য গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফিফার সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে বিয়ার কোম্পানিটি। শুক্রবারই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে বিশ্বকাপের আয়োজক কাতারি কমিটি আটটা ভেন্যুতেই যে বিয়ার পান নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে চলেছে, তা একপর্যায়ে পাকা।
কাতারকে ২০০৯-এ ফিফার তরফে বিশ্বকাপ আয়োজনে ছাড়পত্র দেওয়ার অন্যতম শর্তই ছিল ফিফার সঙ্গে সহযোগী সংস্থাগুলির ব্যবসায়িক চুক্তিকে মান্যতা দেওয়া হবে। ২০২২ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে বাডওয়েইজারও ফিফার সঙ্গে ১২ বছর আগে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিল।
গত শনিবার বিশ্বকাপে বল গড়ানোর মাত্র আট দিন আগে সেই চুক্তিতে অদলবদল আনা হয়। বাডওয়েইজারের বিজ্ঞাপনী কাট আউট কম দৃশ্যমান স্থানে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়।
কাতারে এমনিতে প্রকাশ্যে মদ্যপান জেল-জরিমানা যোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। তবে কাতারের আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে আগে আশ্বস্ত করে জানানো হয়, টুর্নামেন্ট চলাকালীন এই নিয়মে ছাড় দেওয়া হবে। তবে যদি কেউ মদ্যপ অবস্থায় হাঙ্গামা করে সেক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। কাতারে মদ্যপান করার নূন্যতম বয়সসীমা ২১ বছর। পানীয় বিক্রি করার আগে রীতিমত ফটো আইডি দিয়ে বয়স প্রমাণ করতে হয় বিক্রেতার কাছে।
লবিশ্বকাপের মদ্যপান সংক্রান্ত নিয়মে বলা হয়েছিল, কর্পোরেট অতিথিদের জন্য স্টেডিয়ামের রেস্তোরাঁ, লাউঞ্জে বিয়ার, ওয়াইন, শ্যাম্পেন পরিবেশন করা হবে। তবে হঠাৎ করেই আয়োজকদের আপত্তিতে ঘোর সমস্যায় ফিফা। বিয়ার পানে শেষমেশ নিষেধাজ্ঞা জারি হলে বাডওয়েইজারের সঙ্গে বিজ্ঞাপনী চুক্তির শর্ত লঙ্ঘিত হবে ফিফার। সেক্ষেত্রে কড়া আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে ফিফাকে।