পর্তুগাল: ২ (ব্রুনো ফার্নান্দেজ)
উরুগুয়ে: ০
ফ্রান্স, ব্রাজিলের পর এবার শেষ ষোলো নিশ্চিত করে ফেলল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগাল। উরুগুয়েকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে নক আউট পৌঁছে গেল হেভিওয়েট পর্তুগিজরা। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোও সেলিব্রেশনে মাতলেন। যেন গোল করেছেন। আসলে গোল করলেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। ব্রুনোর গোলেই সোমবার পর্তুগালের জয় নিশ্চিত হল।
প্রথমার্ধে গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় শুরুতেই ৫৪ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে ব্রুনোর বাঁকানো শট রোনাল্ডোর মাথার ওপর দিয়ে কোন বরাবর জালে ঢোকে। রোনাল্ডো অঙ্গভঙ্গি করে বোঝাতে চাইছিলেন তাঁর হেডেই বল জালে জড়িয়েছে। গোলের পরেই রোনাল্ডো আলিঙ্গন করছিলেন ব্রুনোকে। তবে লুসেইল স্টেডিয়ামে বারবার রিপ্লেতে দেখা যায়, রোনাল্ডোর টাচ ছাড়াই বল গোলে ঢুকেছে।
পর্তুগালের হয়ে পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোল করে যান ব্রুনোই। স্টপেজ টাইমে বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করেন উরুগুয়ের ডিফেন্ডার হোসে মারিয়া জিমেনেজ। পেনাল্টি থেকে নিজের এবং দলের দ্বিতীয় গোল করতে ভুল করেননি ব্রুনো।
ম্যাচের শেষ টাচে হ্যাটট্রিকও করে ফেলার সুযোগ এসেছিল ম্যাঞ্চেস্টার তারকার কাছে। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর জোরালো শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়।
প্ৰথম ম্যাচে ঘানাকে ৩-২ গোলে হারিয়েছিল পর্তুগাল। ফ্রান্স, ব্রাজিলের পর তৃতীয় দল হিসেবে শেষ ষোলোয় পৌঁছয় ব্রাজিল। দুই ম্যাচে আপাতত এক পয়েন্টে সুয়ারেজের উরুগুয়ের। শেষ ম্যাচে শুক্রবার ঘানার বিরুদ্ধে জিতলে নক আউটে যাওয়ার সুযোগ থাকবে উরুগুয়ের কাছে।
যাইহোক, পর্তুগালের জার্সিতে অনন্য নজির গড়ে ফেললেন পেপে। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় বয়স্কতম ফুটবলার হিসাবে রেকর্ড গড়ে ফেললেন তিনি। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে খেলা রজার মিল্লা এই তালিকায় প্রথম। তারপরেই সোমবারের ম্যাচের পর বয়স্কদের তালিকায় নাম লেখালেন পেপে।
পর্তুগালের দুরন্ত জয়েও চিন্তা বাড়ল লেফট ব্যাক নুনো মেন্ডেজের চোট। ৪০ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠেই কাঁদতে কাঁদতে লুটিয়ে পড়েন তারকা। কোনও সাহায্য ছাড়াই নুনো মাঠ ছাড়তে সমর্থ হন। পর্তুগালের স্কোয়াডে অন্য লেফট ব্যাক হিসাবে রয়েছেন রাফায়েল গুয়েরিরো।