ব্রাজিল: ১ (২) (নেইমার)
ক্রোয়েশিয়া: ১ (৪) (পেতকোভিচ)
হেক্সা জয়ের স্বপ্ন পূরণ হল না। ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় ঘটে গেল ব্রাজিলের। রুদ্ধশ্বাস শেষ আটের লড়াইয়ে ৯০ মিনিটেও খেলা অমীমাংসিত ছিল। অতিরিক্ত সময়ে ব্রাজিল প্ৰথমে গোল করে এগিয়ে গেলেও ম্যাচ শেষের মাত্র ৪ মিনিট আগে গোলশোধ করে দেয় ক্রোয়েশিয়া।
এরপরেই পেনাল্টি শ্যুট আউটে নক্ষত্রপতন!
ম্যাজিক ঘটিয়ে নেইমার ৭৭ তম আন্তর্জাতিক গোল করে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে ম্যাচের বাকি ছিল মাত্র ১৫ মিনিটের অতিরিক্ত সময়ের একটা অর্ধ। তবে নেইমারের সেই ম্যাজিক গোল-ও রুখতে পারল না ক্রোটদের।
তিতের দলকে এদিন একদমই ছন্দে খেলতে দেয়নি লুকা মদ্রিচের দল। ম্যাচের অধিকাংশ সময়েই প্রাধান্য বজায় রেখে গিয়েছিল গতবারের ফাইনালিস্টরা। মাঝমাঠে সেলেকাওদের সামনে সাক্ষাৎ মূর্তিমান আতঙ্ক হিসাবে হাজির হয়েছিলেন তিন ক্রোট মিডিও। লুকা মদ্রিচের সঙ্গেই ছিলেন মার্সেলো ব্রজোভিচ, মাতেও কোভাসিচ। আর গোটা ম্যাচেই দুর্ভেদ্য প্রাচীর হয়ে উঠেছিলেন ক্রোয়েশিয়ান গোলকিপার ডমিনিক লিভাকোভিচ।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের অমর ম্যাচে টাইব্রেকার ক্ল্যাসিক! মেসির স্বপ্ন বাঁচিয়ে কমলা ঝড় থামালেন মার্টিনেজ
গোটা ম্যাচেই নিষ্প্রভ ছিলেন নেইমার। ক্রোয়েশিয়ার জোনাল মার্কিংয়ে আটকে যাচ্ছিলেন বারবার। এর মধ্যে থেকেই দুর্ধর্ষ গোলে গ্যালারিতে সাম্বা ঝড় তুলেছিলেন। কে জানত, ম্যাচ শেষ হওয়ার মাত্র চার মিনিট আগে দুরন্ত একটা মুভ থেকে সমতা ফিরিয়ে যাবেন ব্রুনো পেতকোভিচ!
পেনাল্টি শ্যুট আউট ব্রাজিল শুরু করে অভিশপ্তভাবে রদ্রিগোর শট রুখে দেন ক্রোট গোলকিপার। এরপরে ক্রোয়েশিয়া টানা চারটে শট জালে জড়ালেও চতুর্থ শট পোস্টে মেরে বসেন মার্কুইনহোস।
সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে চার-চারটে গোলে সাম্বা নাচে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নেইমাররা। এদিন সেই নাচ দেখা গেল না, ব্রাজিলেরও হেক্সা জয়ের স্বপ্ন অধরা রয়ে গেল।