/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/12/aguero-camavinga.jpg)
ফ্রান্সের তারকা ফুটবলার এডুয়ার্ড কামাভিঙ্গাকে শিশ্ন-মুখী বলে মন্তব্য করেছিলেন আর্জেন্টিনার প্রাক্তন তারকা সের্জিও আগুয়েরো। বিশ্বকাপ জয়ের সেলিব্রেশন চলার সময়েই এমন অপকর্ম করেন বলেন অভিযোগ উঠেছিল। নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে ঐতিহাসিক জয়ের পর লাইভ করছিলেন ম্যান সিটির প্রাক্তন সুপারস্টার। সেই লাইভেই ফরাসি মিডফিল্ডার এডুয়ার্ড কামাভিঙ্গাকে নিয়ে কুৎসিত মন্তব্য করে বসেছিলেন এক গান গাওয়ার সময়। তারপরেই চরম সমালোচনার মুখে পড়েন তারকা।
তবে সেই অভিযোগ খারিজ করে দিলেন স্বয়ং আগুয়েরোই। তিনি বলে দিলেন কামাভিঙ্গার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত কোনও সমস্যা নেই। স্রেফ মজার ছলেই এরকম বলেছিলেন তিনি। তিনি টুইট করে নিজের পক্ষে সাফাই দিয়ে বলেন, "ওহে, প্ৰথমত ওঁর সঙ্গে আমার কোনও সমস্যা নেই। দ্বিতীয়ত এটা একটা পার্টি জোক। এছাড়াও তুমি যদি ওঁর স্ট্রিম ফলো করো, বুঝবে ও নিজেও নিজের নাম নিয়ে রসিকতা করে থাকে। এতে কোনও সমস্যা দেখছি না।"
আরও পড়ুন: মেসি ভারতীয় ফুটবলার, জন্ম আসামে! ইতিহাস ঘেঁটে দুর্ধর্ষ তথ্য বের করলেন কংগ্রেস নেতা
Jeee . A ver primero no tengo nada con el y Segundo es una broma de festejo . Además si buscas en stream siempre bromeó con su nombre . No busques problemas pa 😎 https://t.co/meknNWx0oy
— Sergio Kun Aguero (@aguerosergiokun) December 19, 2022
হৃদরোগের কারণে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে সের্জিও আগুয়েরো আগাম কেরিয়ারে ইতি টেনে দিয়েছেন গত ডিসেম্বরে। তবে জাতীয় দলের স্কোয়াডে না থাকলেও দলের সঙ্গে কাতারে ছিলেন তারকা। ফাইনালের আগেই তিনি দলের সঙ্গে যোগ দেন। মেসি এবং আগুয়েরো দুজনে অবিচ্ছেদ্য বন্ধু। শৈশব থেকেই দুজনে একই রুম শেয়ার করতেন। এবার আগুয়েরো বিশ্বকাপের প্ৰথমদিকে না থাকায় মেসি নিজের রুমে একাই থাকছিলেন। আগুয়েরো ছাড়া অন্য কারোর সঙ্গে রুম শেয়ার করতে চাননি তিনি। তবে আগুয়েরো দলের সঙ্গে যোগ দিতেই পুরোনো রুমমেটকে ফিরে পান মহানায়ক।
আরও পড়ুন: টাইব্রেকার মিস করে বিশ্বকাপ ফাইনালে হার! ফ্রান্সের কালো ফুটবলারদের দেশে ফিরতেই তুলোধোনা
এর আগে আর্জেন্টিনীয় ক্যাম্পে আগুয়েরোকে ঢুকতে না দেওয়ায়, সতীর্থদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ না দেওয়ায় নিজের দেশের টিম ম্যানেজমেন্টকে তুলোধোনা করেছিলেন তারকা। সে ঘটনা গ্রুপ পর্বে সৌদি ম্যাচের আগে।
যাইহোক, নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে ১২০ মিনিট শেষে ফাইনালে দুই দলের স্কোর ছিল ৩-৩। এরপরেই খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে চুয়ামেনি, কোমানের জোড়া টাইব্রেকারে মিস ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করে দেয়। আর্জেন্টিনার হয়ে ৩ গোলের দুটো করেন মেসি। একটি এঞ্জেল ডি মারিয়ার। ফ্রান্সের হয়ে দুটো পেনাল্টি গোল সমেত হ্যাটট্রিক করে যান।