বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হলেন প্ৰথমবার। প্ৰথমবার স্বাদ পেলেন দুনিয়ার সেরা ট্রফি জয়ের। তারপরে স্বপ্নের সমস্ত প্রহর। মেসিকে সতীর্থরা কাঁধে তুলে নিয়েছেন। কখনও সতীর্থদের উচ্ছ্বাসের প্লাবনে ভেসে গিয়েছেন। কখনও আবার ট্রফি হাতে ধরেছেন। রবিবার রাতের আইকনিক সমস্ত মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি রয়েছে।
তবে মেসিকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ট্রফি তুলতে দেখা গেল কালো আলখাল্লা জড়িয়ে। নীল-সাদা আর্জেন্টিনীয় জার্সির ওপর কালো পোশাক পরেই মেসি সুদৃশ্য ট্রফি তুললেন হাসি মুখে। যে ট্রফি ২০১৪ সালে তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিল একদম শেষ লগ্নে। সেই ট্রফিই তাঁকে এবার সাদরে আলিঙ্গন করে নিল।
আরও পড়ুন: ট্রফি যেন যৌনাঙ্গ, পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেই চ্যাম্পিয়ন মার্টিনেজের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, দেখুন ভিডিও
কিন্তু কালো পোশাকে কেন ট্রফি তুললেন মেসি। ম্যাচের পরেই জানা গেল আসল রহস্য। আসলে ট্রফি মেসির হাতে তুলে দেওয়ার আগেই কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি সুপারস্টারের গায়ে জড়িয়ে দেন আরব দুনিয়ার এই ঐতিহ্যবাহী পোশাক। আরব দুনিয়ায় বিশেষ অনুষ্ঠানে এই কালো পোশাক পরার রীতি রয়েছে। এই পোশাক বানানো হয় উটের লোম এবং ছাগলের পশম দিয়ে। সাধারণত, রাজা-রাজরারা এই হালকা পশমের এই পোশাক গায়ে জড়িয়ে নেন ঐতিহ্য মেনে। মেসির গায়ে তা চাপিয়ে দেওয়া হলে তিনি আপত্তি করেননি। মরু শহরে বিশ্বকাপের অতৃপ্ত স্বপ্ন পূরণ করার মাহেন্দ্রক্ষণে তাঁর গায়ে চড়ানো থাকল সেই কালো পশমিয়া।
যে মুহূর্তের ছবি লাখো লাখো ক্যামেরায় বন্দি হবে, শেয়ার হবে কয়েকশো কোটি বার, প্রজন্মের পর প্রজন্ম যে ছবিতে বুঁদ হয়ে থাকবেন সমর্থকরা, সেই মুহূর্তই কিনা গর্বের নীল-সাদা জার্সি কালো আচ্ছাদনে ঢাকা থাকবে! অনেকেই এমন প্রশ্ন তুলেছেন। সেই ছবিতে কালো পোশাকের মেসির সঙ্গে কাতারের আমির এবং জিয়ান্নি ইনফ্যান্টিনোকেও দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনা একদিন বেশি সময় পেল! ফাইনাল হেরে বিষ্ফোরক অভিযোগ কোচ দেশচ্যাম্পের গলায়
ঘটনা হল, ট্রফি হাতে তোলার সময় কালো আচ্ছাদনে মেসির জার্সি ঢাকা থাকলেও টিম ফটো সেশনে মেসি কালো আলখাল্লা সরিয়েই ছবি তোলেন। নতুন যে জার্সিতে ছবি তোলেন মেসিরা, সেই নীল-সাদা জার্সিতে খোদাই করা রয়েছে তিনটে স্টার, তিনবার বিশ্বকাপ জয়ের প্রতীক হিসেবে।
নাটকীয় রাতে লিওনেল মেসি ম্যাজিকেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ফ্রান্স। নিজে জোড়া গোল করলেন। টাইব্রেকার নিয়ে ফাইনালে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মহানায়কের গোলের সংখ্যা ৩। ১২০ মিনিট খেলার শেষে স্কোরবোর্ড ছিল ৩-৩। শেষে টাইব্রেকার শ্যুট আউটে ম্যাচের ফয়সালা হয় ৪-২ ব্যবধানে।