/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/12/france-2.jpeg)
টাইব্রেকারে ফয়সালা হয়েছে ম্যাচের। আর সেই টাইব্রেকারেই ফ্রান্সের হয়ে পেনাল্টি মিস করে বসেন কিংসলে কোমান এবং অরেলিন চুয়ামেনি। তারপরেই দুই কৃষ্ণাঙ্গ তারকাকে অনলাইনে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের শিকার হতে হয়। কোমানের শট বাঁচিয়ে দেন আর্জেন্টিনীয় গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। চুয়ামেনি বাইরে শট পাঠান। এই দুই ভুল পেনাল্টির খেসারত দিয়ে ম্যাচ হেরে বসে ফ্রান্স।
কোমান খেলেন বায়ার্ন মিউনিখে। বুন্দেশলিগা চ্যাম্পিয়নদের তরফে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। টুইটার পোস্টে লেখা হয়েছে, "এফসি বায়ার্ন মিউনিখের তরফ থেকে কিংসলে কোমানকে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করা হচ্ছে। বায়ার্ন মিউনিখ পরিবার তোমার পাশেই রয়েছে। আমাদের সমাজে খেলাধুলার মধ্যে বর্ণবিদ্বেষের কোনও জায়গা নেই।"
FC Bayern strongly condemn the racist comments made towards Kingsley Coman.
The FC Bayern family is behind you, King. Racism has no place in sport or our society. pic.twitter.com/9Mvhrt0Zc9— FC Bayern Munich (@FCBayernEN) December 19, 2022
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জয় হল না! ফ্রান্সের ব্যালন ডি’ওর জয়ী তারকা অবসরের পথেই হাঁটছেন
নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে ১২০ মিনিট শেষে ফাইনালে দুই দলের স্কোর ছিল ৩-৩। এরপরেই খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে চুয়ামেনি, কোমানের জোড়া টাইব্রেকারে মিস ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করে দেয়। আর্জেন্টিনার হয়ে ৩ গোলের দুটো করেন মেসি। একটি এঞ্জেল ডি মারিয়ার। ফ্রান্সের হয়ে দুটো পেনাল্টি গোল সমেত হ্যাটট্রিক করে যান।
গত বছর ইউরো ফাইনালে ইতালির বিরুদ্ধে বুকাও সাকা, মার্কাস রাশফোর্ড এবং জর্ডন স্যানচো একইভাবে টাইব্রেকার মিস করে দেশের জনতার কাছে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছিলেন। এতেই ইংল্যান্ডের ফুটবল সংস্থার তরফে সরকারিভাবে বিবৃতি দিয়ে নিন্দা জানানো হয়।
ইংলিশ ফুটবল সংস্থার তরফে বলা হয়েছিল, "দোষীদের কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করে আমরা সর্বোতভাবে ফুটবলারদের পাশে দাঁড়াচ্ছি। খেলা থেকে বৈষম্য দূর করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হবে। তবে সরকারের কাছেই আমাদের দাবি থাকছে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য।"