বিশ্বকাপের মঞ্চেই ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠে গেল ইরান সরকারের বিরুদ্ধে। নিজেদের দেশের ফুটবলারদেরই হুমকি দিয়ে বসল ইরান সরকার। মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে ইরান। সেই ম্যাচে যদি নিজেদের 'ব্যবহার' ঠিক না করা হয়, তাহলে ফুটবলারদের পরিবারের ওপর হিংসা নেমে আসবে। এমন ভাষাতেই ইরান ফুটবলারদের হুমকি দেওয়া হল।
সূত্রকে উদ্ধৃতি করে সিএনএন জানিয়েছে, কাতার বিশ্বকাপে ইরান দলের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা মজুত করা হয়েছে। সেই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে নিরাপত্তার জন্য ইরানের জাতীয় দলের কোচ কার্লোস কুইরোজ ইরানিয়ান রেভলিউশনারি গার্ড কর্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই হুমকির আবহেই এই সাক্ষাৎ কী কারণে, তা অবশ্য এখনই জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর কাণ্ড, বিশ্বকাপে ইসলামকেই চূড়ান্ত অপমান USA-র! দাউদাউ বিতর্কে ফুঁসে উঠল ইরান
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্ৰথম ম্যাচে ইরান ফুটবলাররা জাতীয় সঙ্গীত গাইতে অস্বীকার করেছিলেন দেশের প্রতিবাদকে সমর্থন জানাতে। সিএনএন রিপোর্টে বলা হয়েছে ফুটবলারদের প্ৰথমে গাড়ি-বাড়ির প্রলোভন দেখানো হয়েছিল ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে। তবে তারপর জাতীয় সঙ্গীত কাণ্ডের ওল্পর সরাসরি হিংসার হুমকি দেওয়া হয়েছে ফুটবলারদের। ওয়েলশ ম্যাচ থেকেই যে কারণে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেছেন আলি রেজারা।
ইরানে এই মুহূর্তে জাতীয় প্রতিবাদ চলছে। মাহসা আমিনিকে হিজাব না পড়ার অপরাধে প্রকাশ্যে দিবালোকে হত্যা করা হয়। তারপর থেকে ইরানের বিক্ষোভ সামিল হয়েছে গোটা বিশ্ব। গোটা ইরান জুড়েই এখনও দাউদাউ করে জ্বলছে প্রতিবাদের আগুন। ইন্টারনেট সংযোগ ছিন্ন করা হয়েছে, গোটা ইরান জুড়ে ৪৫০ জনকে বিক্ষোভকারীকে হত্যা করা হয়েছে প্রতিবাদ দমন করার জন্য।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের মধ্যেই ফিফার নিয়ম ভেঙে বিদ্রোহ জার্মানির! বেনজির ঘটনায় কড়া শাস্তির মুখে চারবারের চ্যাম্পিয়নরা
১৮ হাজারের বেশি প্রতিবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইরান সরকারের তরফে এখনও হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলির তরফ থেকে। প্রতিবাদকারীদের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়েই জাতীয় দল জাতীয় সঙ্গীত গাইতে অস্বীকার করেছিল। তারপর যে এরকম শাস্তির খাড়া নেমে আসবে, কে ভেবেছিল!