স্পেনকে হারিয়ে জাপান বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিল। ছিটকে গেল জার্মানি। তবে এতেও লেগে থাকল বিতর্ক। দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রে কাইরু মিতোমা ক্রস বাড়িয়েছিলেন আও তানাকাকে। যেখান থেকে বল জালে জড়িয়ে দেন তানাকা। ক্রস বাড়ানোর সময় বল লাইন ক্রস করে গিয়েছে, এমনটা ধরে নিয়ে লাইন্সম্যান গোল বাতিল করে দিয়েছিলেন। তবে লম্বা সময় ধরে ভার-এ খতিয়ে দেখার পর জাপানের পক্ষেই রায় দেওয়া হয়।
প্রাথমিকভাবে দেখে বোঝা যাচ্ছিল বল হয়ত সাইডলাইন ক্রস করে গিয়েছে। তবে ওপর থেকে টপ শটে বোঝা যাচ্ছে বল খেলার মধ্যে ছিল কয়েক মিলিমিটারের জন্য। ডেইলি মিরর-এ বলা হচ্ছে, বল লাইন পুরোপুরি ক্রস করে গেলে তা ডেড বল ঘোষিত হয়। যা অতীতে গোল লাইন ক্যামেরা, রিপ্লে-র মাধ্যমে নির্ণয় করা হত।
আরও পড়ুন: অঘটনের বিদায় বেলজিয়ামের, কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়লেন লুকাকু-ডি ব্রুইনরা
ম্যাচের পর তানাকা জানিয়ে দেন, "আমার তরফ থেকে মনে হয়েছিল বলে অর্ধেকটা বেরিয়েছিল। তবে পুরোপুরি খেয়াল করতে পারিনি ম্যাচের গতির জন্য। আমার স্রেফ গোল করায় ধ্যান ছিল। বল যে বাইরে গিয়েছিল, এরকম সম্ভবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে দিনের শেষে এটা গোল-ই। সেটা তো ভালোই।"
ম্যাচের পরেও জাপানের দ্বিতীয় গোল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। অনেকেই এরকম গোল দেওয়ার বিরোধিতা করেছেন। যাইহোক, জাপান আরও একবার পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল করে অন্য এক ইউরোপীয় পাওয়ার হাউসকে বধ করল ২-১'এ। যাতে ২০১৮-র পর আরও একবার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হল জার্মানির।
আরও পড়ুন: জাপানি বোমায় তছনছ শক্তিশালী স্পেন! বিশ্বকাপ থেকে লজ্জার বিদায়ে মুখ পুড়ল জার্মানির
১১ মিনিটে স্পেন মোরাতার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল। হাফটাইম পর্যন্ত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ স্পেনের হাতেই ছিল। তবে বিরতির পর রিতসু দোয়ান ৪৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শটে সমতা ফিরিয়ে দেন। ঠিক ৩ মিনিট পরেই তানাকার বিতর্কিত দ্বিতীয় গোল।
গ্রুপ-ই'এ চ্যাম্পিয়ন হয়ে জাপান শেষ ষোলোয় মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়ার। স্পেনকে খেলতে হবে গ্রুপ-এফ'এর শীর্ষে থাকা মরক্কোর বিরুদ্ধে।