জাপান: ২ (দোয়ান, আসানো)
জার্মানি: ১ (গুনদোগান)
২৪ ঘন্টা আগেই সৌদির ট্যাকটিক্যাল ফুটবলে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করেছিল আর্জেন্টিনা। সেই অঘটনের রেশ কাটার আগেই ফের একটা অঘটন দেখল বিশ্বকাপ। এবার জার্মানি হারল অন্য এক এশীয় শক্তি জাপানের কাছে। সৌদি যেভাবে ১ গোলে পিছিয়ে থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। একইভাবে জার্মানিকে একই ব্যবধানে হারাল জাপান।
আর্জেন্টিনা বনাম সৌদি ম্যাচের রিপিট টেলিকাস্টই যেন বুধবারের জাপান-জার্মানির দ্বৈরথে। একইভাবে বিরতির আগে পেনাল্টি থেকে গোল করে ইকের গুণ্ডেগান দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। তবে সৌদির মত বিরতির পরেই নয়, শেষলগ্নে জোড়া গোল করে জার্মানিকে হারিয়ে চলতি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় অঘটন ঘটিয়ে যায় জাপান।
আরও পড়ুন: জাপান ম্যাচের আগে মুখ ঢাকল জার্মানি! বেনজির দৃষ্টান্তে ভয়াবহ চাপে পড়ল এবার ফিফা, কাতার
আর্জেন্টিনার লাউতারো মার্টিনেজের মত জার্মানির হয়ে গোল বাতিল হল কাই হাভার্টজের। অফসাইডের কারণে। জাপানের হয়ে শেষ ১৫ মিনিটে আক্রমণের ঝড় তুলে গোল করে যান স্ট্রাইকার রিতসু দোয়ান, তাকুমা আসানো। এই প্ৰথমবার জার্মানিকে হারাল জাপান।
২০১৪-এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে জার্মানি ২০১৮-য় রাশিয়ার গ্রুপ থেকেই বিদায় নেয়। চার বছর আগে গ্রুপে প্ৰথম ম্যাচেই জার্মানি হেরেছিল মেক্সিকোর কাছে। তারপরে সাউথ কোরিয়ার কাছে হেরে বিদায় ঘটে যায় জার্মানির।
ম্যাচের প্ৰথম থেকেই দাপটে ছিল জার্মানির। ডেভিড রামের পাস থেকে জশুয়া কিমিচ বক্সে ঢোকার পরেই গোলকিপার শুইচি গোন্দা ফাউল করে বসেন। প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে গুণ্ডেগান গোল করতে ভুল করেননি।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের জন্য ফিট নন অর্ধেক আর্জেন্টিনীয় তারকাই! প্রকাশ্যে এল মেসিদের বিরাট আপডেট
বিরতির পরেও আধিপত্য নিয়ে খেলতে থাকে জার্মানি। জামাল মুসিয়ালা পোস্টের ওপর দিকে একবার বল উড়িয়ে দেন। গুণ্ডেগানের একটি শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। জাপানি গোলকিপার প্রথমার্ধে ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করে জোনাস হফম্যান, সের্গেই গ্যানবরির নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন দুর্ধর্ষ ক্ষিপ্রতায়।
এই নিয়ে চতুর্থ বিশ্বকাপে খেলতে নেমেছেন জার্মানির গোলকিপার ম্যানুয়েল নয়ের। তিনি এদিনও হিরোসি সাকাইয়ের শট দুর্ধর্ষ ভঙ্গিতে সেভ করেন। তবে লুজ বল থেকে দোয়ানের শট বাঁচাতে পারেননি মোক্ষম সময়ে। এরপরে ম্যাজিক দেখিয়ে জাপানের হয়ে জয়সূচক গোল করে যান আসানো। নিকো শ্লতারবেককে কাটিয়ে দুর্ধর্ষ গোল করে যান তিনি। ২-১ হয়ে যাওয়ার পর জার্মানি গোলশোধের জন্য আক্রমণের তেজ বাড়ায়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।