ফ্রান্স: ৩ (জিরৌদ, এমবাপে-২)
পোল্যান্ড: ১ (লেওয়ানডস্কি)
পোলিশ ডিনামাইট নিভিয়ে দিয়ে রাজার মেজাজে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল ফ্রান্স। শেষ আটে পৌঁছনোর পথে ফ্রান্স ৩-১ গোলে চূর্ণ করল পোল্যান্ডকে। রবিবারের রেকর্ড গড়া ম্যাচে অলিভিয়ের জিরু ফ্রান্সের সর্বকালের টপ স্কোরার হয়ে গেলেন। ফ্রান্সের জার্সিতে সবথেকে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার নজির গড়লেন গোলকিপার হুগো লরিসও। তিনি পেরোলেন লিলিয়াম থুরামকে। আগুন ছড়িয়ে জোড়া গোল করে নায়ক এমবাপেও।
প্ৰথম থেকেই পোল্যান্ডের অর্ধে হা রা রে রে করে আক্রমণ শুরু করেছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। টানা আক্রমণে পোল্যান্ড রক্ষণ ফালাফালা করে দিচ্ছিলেন ফরাসি স্ট্রাইকাররা। তবে পোলিশ রক্ষণও দুর্ভেদ্য হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিল। তবে বিরতির আগেই ফ্রান্স লিড নেয় এমবাপের পাস থেকে। জিরুকে পিন পয়েন্ট পাস বাড়িয়েছিলেন চলতি প্রজন্মের সবথেকে আলোচিত তারকা। সেই থ্রু বল ধরে পোলিশ গোলকিপার সেজেনিকে পরাস্ত করতে সমস্যা হয়নি জিরুর। ডাইভ দিয়েও গোলকিপার বাঁচাতে পারেননি জিরুর শট।
আর বিরতির আগে সেই গোলেই ইতিহাসে উঠে গেলেন তিনি। ৫২তম আন্তর্জাতিক গোল করে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ স্কোরার আপাতত তিনিই। বিরতির পরেও আক্রমণে কোনও লাগাম দেয়নি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। জুলস কৌন্ডের ক্রস থেকে জিরু ম্যাচে প্রায় নিজের দ্বিতীয় গোল করে বসেছিলেন।
আরও পড়ুন: অন্ডকোষ আঁকড়ে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি বিশ্বকাপে! কদর্য রাজনীতিতে ভয়াবহ বিতর্ক কাতারের মাঠে
জিরু মিস করলেও মিস করেননি এমবাপে। ৭৪ মিনিটে সুপারস্টারের গোলার মত শট টপ কর্ণারে আছড়ে পড়ে।
প্ৰথম গোলের পরেও থামানো যায়নি এমবাপেকে। সংযোজিত সময়ে আরও একটা জোরালো শটে গোল করে বুঝিয়ে দেন কেন তাঁকে নিয়ে ফুটবল বিশ্বে এত মাতামাতি। সবমিলিয়ে চলতি টুর্নামেন্টে তাঁর নামের পাশে ইতিমধ্যেই পাঁচ গোল।
পোল্যান্ডের হয়ে একমাত্র স্বান্ত্বনা সূচক গোল করে যান রবার্ট লেওয়ানডস্কি। রবিবার দ্বিতীয় ম্যাচে নামছে ইংল্যান্ড বনাম সেনেগাল। সেই ম্যাচের বিজয়ীর সঙ্গে ফ্রান্স মুখোমুখি হবে পরের রবিবার।