বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা অঘটনে মঙ্গলবার হেরে গিয়েছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি ক্রমতালিকায় দুই নম্বরে রয়েছে সৌদি আরব। আপাতত অবিশ্বাস্য হারের পর গ্রুপের বাকি দুই ম্যাচ- মেক্সিকো এবং পোল্যান্ড ম্যাচ কার্যত মাস্ট উইন আর্জেন্টিনার কাছে।
হারের পর ক্যাপ্টেন মেসি সাফ বলে দিয়েছেন, "যা ঘটেছে। তা আপাতত অতীত। একত্রিত থাকতে হবে। সৌদি ম্যাচের থেকে পজিটিভ বিষয় খুঁজে দেখতে হবে। কোথায় ভুল হয়েছে, তা সংশোধন করে মেক্সিকো ম্যাচে নামতে হবে। আমরা বরাবর বলে এসেছি বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচ জেতাই আমাদের লক্ষ্য।"
আরও পড়ুন: ওঁরা মরে গিয়েছে! ‘যৌনাঙ্গ’ স্টেডিয়ামে হারের পরেই আর্জেন্টিনীয় সতীর্থদের নিয়ে বিষ্ফোরক মেসি
তবে বেনজির হারের পর প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, বিশ্বকাপে খেলার মত পর্যাপ্ত ফিটনেস রয়েছে কিনা আর্জেন্টিনীয়দের। সৌদি ম্যাচেই দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন তারকা পুরোপুরি ফিট নন। প্ৰথম গোলের ক্ষেত্রে ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোকে যেভাবে বিট করলেন সালেহ আল সেহরি, তাতে তাঁর ফিটনেস নিয়ে যথেষ্ট সংশয়ে ফুটবল মহল। গত মাসে টটেনহ্যামের হয়ে মাসল ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি রোমেরো। অক্টোবরে ইনজুরি কাটিয়ে ওঠার পর ডি মারিয়া এবং লিয়েন্দ্র পারেদেসও খুব বেশি সময় কাটাননি মাঠে।
৫৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করার পরেই রোমেরো এবং পারেদেসকে তুলে নেন কোচ স্কালোনি। মাঝমাঠে রদ্রিগো ডি পল এবং রাইটব্যাক পজিশনে নাহুয়েল মোলিনা আতলেতিকো মাদ্রিদে প্ৰথম একাদশে নিয়মিত নন। সৌদির শারীরিক ফুটবলের সামনে দি পলকে স্পষ্টতই বেমানান লেগেছে। কোচের প্রিয় জিওভান্নি লো সেলসো এবার চোটের কারণে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে নেই। তাঁর অভাব অনুভব করছে নীল-সাদা জার্সিধারীরা। সৌদির বিরুদ্ধে নিকোলাস ওতামেন্ডিকে প্ৰথম একাদশে রেখে দল গড়লেও মেক্সিকো ম্যাচে স্কালোনি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ফর্মে থাকা লিসান্দ্র মার্টিনেজকে নামাতে পারেন।
মেসির ফিটনেস নিয়েও সংশয় রয়েছে। সৌদির বিরুদ্ধে প্ৰথম ম্যাচের আগে মেসি একাকী অনুশীলন সেরেছিলেন। দলের মাঝমাঠের ফাঁকফোকর ঢেকে রাখতে তাঁকে প্রায়ই নিচে আসতে হচ্ছিল। তবে গোটা ম্যাচেই ছন্দ খুঁজে পাননি মহাতারকা। ডান হাঁটুতে ব্যান্ডেজ করা অবস্থায় মেসির ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
সমস্যা অনেক। শনিবার মেক্সিকো ম্যাচ হারলেই পাকাপাকিভাবে বিদায় ঘটবে আর্জেন্টিনার। সেই অভিশপ্ত লুসেইল স্টেডিয়ামে কী ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে পারবেন মেসিরা, সেটাই দেখার।