কাতারে মদ্যপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ। বিশ্বকাপ শুরুর মাত্র কয়েকদিন আগে কাতার ফিফাকে জানিয়ে দিয়েছিল দেশের আটটি ফুটবল ভেন্যুতেই যেকোনও প্রকার মদ্যপান নিষিদ্ধ করতে হবে। ফিফার অফিসিয়াল স্পনসর বাডওয়াইজের। সেই বিয়ার সংস্থার কাট-আউটও স্টেডিয়ামের বাইরে জম দৃশ্যমান স্থানে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
আয়োজক কাতারের এই ইউ-টার্নে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে ফিফাকে। কাতারকে ২০০৯-এ ফিফার তরফে বিশ্বকাপ আয়োজনে ছাড়পত্র দেওয়ার অন্যতম শর্তই ছিল ফিফার সঙ্গে সহযোগী সংস্থাগুলির ব্যবসায়িক চুক্তিকে মান্যতা দেওয়া হবে। ২০২২ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে বাডওয়েইজারও ফিফার সঙ্গে ১২ বছর আগে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিল।
আরও পড়ুন: গোল বাঁচিয়েই বান্ধবীকে গভীর চুমু কুর্তোয়ার! রক্ষণশীল কাতারে ভয়ঙ্কর পরিণতির মুখে বেলজিয়ান তারকা
তবে শেষ মুহূর্তে কাতার একদম মদ্যপান সংক্রান্ত নিয়ম থেকে সরে আসে। আটটি স্টেডিয়ামেই মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় সমর্থকরা বিপদে পড়েছেন। তবে নিয়মাবলীকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এক মেক্সিক্যান সমর্থকের কীর্তি রীতিমত ভাইরাল। মেক্সিকো বনাম পোল্যান্ড ম্যাচে চুপিচুপি বাইনোকুলারে করে বিয়ার লুকিয়ে এনেছিল।
প্ৰথমে তা নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে গেলেও পরে গ্যালারিতে গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়ে যায় সমর্থকের কাণ্ড-কারখানা। মদ্যপান নিয়মে অনেক সমর্থকই মানতে পারবেন না- এমন শঙ্কা থেকে আয়োজক কাতার এবার আটটি ভেন্যুতে ২০ হাজারের বেশি সিকিউরিটি ক্যামেরা বসিয়েছে। সেখানেই মেক্সিক্যান সমর্থক ধরা পড়ে যান। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মেক্সিক্যান সেই সমর্থক নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে কথা বলছেন।
কাতারে এমনিতে প্রকাশ্যে মদ্যপান জেল-জরিমানা যোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। তবে কাতারের আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে আগে আশ্বস্ত করে জানানো হয়, টুর্নামেন্ট চলাকালীন এই নিয়মে ছাড় দেওয়া হবে। তবে যদি কেউ মদ্যপ অবস্থায় হাঙ্গামা করে সেক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। কাতারে মদ্যপান করার নূন্যতম0 বয়সসীমা ২১ বছর। পানীয় বিক্রি করার আগে রীতিমত ফটো আইডি দিয়ে বয়স প্রমাণ করতে হয় বিক্রেতার কাছে।