প্ৰথম ম্যাচে দুর্ধর্ষ জয় পেয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ব্রাজিল। তবে ব্রাজিলের জয় ম্লান করে দিল নেইমারের ইনজুরি। বারবার সার্বিয়ান ডিফেন্ডাররা টার্গেট করেছিলেন পিএসজি মহাতারকাকে। তারপরে খোঁড়াতে খোঁড়াতে ৮০ মিনিটে মাঠ ছাড়েন তিনি। হাঁটু ফুলে ঢোল।
ডাগ-আউটে রীতিমত ভেঙে পড়েন তিনি। চোখে জল নিয়ে ব্রাজিলিয়ান মহাতারকাকে বিষণ্ণ মুখে বসে থাকতে দেখা যায় সতীর্থদের সঙ্গে। ব্রাজিলের মেডিক্যাল টিমের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ২৪-৪৮ ঘন্টা না কাটলে বোঝা সম্ভব নয় নেইমার চলতি বিশ্বকাপে আর খেলতে পারবেন কিনা।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলকে আটকে রাখতে পারল না সার্বিয়া! রিচার্লিসনের জোড়া গোলে তিন পয়েন্ট সাম্বার
হেড কোচ তিতে অবশ্য আশাবাদী নেইমার চোটের ধাক্কা কাটিয়ে বাকি টুর্নামেন্টেও খেলতে পারবেন। প্ৰথমদিকে কোচ তিতে নেইমারের চোটের গুরুত্ব বুঝতে পারেননি। নিজেই এই কথা স্বীকার করে ম্যাচের পরে সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন, "নেইমার বাকি টুর্নামেন্টেও খেলবে। আমরা রীতিমতো আশাবাদী। প্ৰথমে নেইমারের ইনজুরি খেয়াল করিনি। এরকম অবস্থা কাটিয়ে ওঠার শক্তি ওঁর রয়েছে।"
ম্যাচে নেইমার গোল না পেলেও দুটো গোলের বিল্ড আপের ক্ষেত্রেই নেইমারের অবদান রয়েছে। সার্বিয়া প্রথম থেকেই শারীরিক ফুটবলে চাপে রাখতে চাইছিল ব্রাজিলকে। পরিসংখ্যান বলছে গোটা ম্যাচ জুড়েই নেইমারের ওপর আটটি ফাউল হয়। নিকোলা মিলেনকোভিচের হার্ড ট্যাকলের পর আর দেরি করেননি তিতে। নেইমারকে তুলে নেন। আন্তনিকে পরিবর্ত হিসাবে নামানো হয়। খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়েন সুপারস্টার। ডাগ আউটে আইসপ্যাক দিয়ে দলের মেডিক্যাল টিম নেইমারের পরিচর্যায় লেগে পড়ে। এমনকি জয়ের পর লকার রুমে যাওয়ার সময়েই দৃশ্যতই অস্বস্তিতে ছিলেন নেইমার।
ব্রাজিলের জার্সিতে একবারও বড় খেতাব জিততে পারেননি মহাতারকা। কনফেডারেশন কাপ কিংবা ২০১৬-র রিও অলিম্পিকে সোনা জিতলেও বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এবার অপূর্ণ সেই খেতাব জিততেই কাতারে এসেছেন নেইমার। তবে সেই মঞ্চে কী তাঁকে হতাশ হয়ে আগেভাগেই দেশে ফেরার বিমানে উঠতে হবে, ব্রাজিল উদ্বিগ্ন হয়ে যে সামনের কয়েকটা দিন কাটাবে, তা বলেই দেওয়া যায়।