দক্ষিণ কোরিয়া: ২ (হুয়ান চাং, কিম ইউন)
পর্তুগাল: ১ (রিকার্ডো)
উরুগুয়ে: ২ (আরাসকাতা)
ঘানা: ০
বিশ্বকাপে এশিয় শক্তির সামনে মাথা নোয়াতে বাধ্য হচ্ছে তাবড় তাবড় হেভিওয়েট দল। আর্জেন্টিনাকে মাটি ধরিয়েছে সৌদি আরব। জাপান তো নিজেদের গ্রুপে দুই পরাশক্তি জার্মানি, স্পেন দুই দলকেই হারিয়ে রূপকথার জন্ম দিয়েছে। আফ্রিকা থেকে আসা মরক্কোর কাছে হেরে বসেছে বেলজিয়াম। শুক্রবারেও সেই ট্র্যাডিশন অব্যাহত। রোনাল্ডোর পর্তুগালকে ২-১'এ হারিয়ে শেষ ষোলোয় পৌঁছে গেল দক্ষিণ কোরিয়া। উরুগুয়ে গ্রুপের অন্য ম্যাচে ঘানাকে হারালেও গোল পার্থক্যে সুয়ারেজরা ছিটকে গেলেন।
পর্তুগালের বিরুদ্ধে একদম শেষ মুহূর্তের গোলে জয় পেল দক্ষিণ কোরিয়া। এশীয় দলের কাছে হারলেও পর্তুগাল শীর্ষ স্থানে থেকে পরের রাউন্ডে যাওয়া আটকায়নি। এদিন অন্য ম্যাচে উরুগুয়ে ২-০'এ ঘানাকে হারিয়েও লাভ হয়নি। উরুগুয়ের সঙ্গে একই পয়েন্টে দাঁড়িয়ে যায় দক্ষিণ কোরিয়া। তবে সমসংখ্যক পয়েন্ট এবং গোল পার্থক্য একই হওয়ায় গোল স্কোর করার হিসাবে শেষ ষোলোয় পৌঁছে গেল এশিয় দলটি। ছিটকে যেতে হয় সুয়ারেজদের।
বিরতিতে খেলার স্কোর ছিল ১-১। পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার জন্য জিততেই হত কোরিয়াকে। এদিকে সময়ও শেষ হয়ে আসছিল। এমন সময়ে এক্সট্রা টাইমে ম্যাজিল দেখিয়ে গোল করে যান দক্ষিণ কোরিয়ার স্ট্রাইকার। পর্তুগালের কর্ণারের পর অনেকটা জায়গা ফাঁকা পেয়ে গিয়েছিলেন সং হিউন মিন। তিনি হুয়াং হু চানকে গোলের বল বাড়িয়ে দেন। দিয়েগো কোস্তাকে পেরিয়ে গোল করার পরেই বন্য সেলিব্রেশনে মেতে উঠেন কোরিয়ানরা।
আরও পড়ুন: অঘটনের বিদায় বেলজিয়ামের, কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়লেন লুকাকু-ডি ব্রুইনরা
পর্তুগাল ম্যাচের প্রায় শুরুতেই লিড নিয়েছিল রিকার্ডো হোর্তার গোলে। ২৭ মিনিটে কোরিয়ানদের আশা জাগিয়ে গোল করে যান কিম ইউং গোয়ান। কর্ণার সরাসরি রোনাল্ডোর পিঠে আঘাত করে। সেই লুজ বলই সামনে পেয়ে যান কোরিয়ান ডিফেন্ডার। সেখান থেকে গোল করতে ভুল হয়নি তাঁর।
এরপরে শেষ মুহূর্তে রুদ্ধশ্বাস থ্রিলারে পর্তুগিজদের হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে কোরিয়ানরা গ্রুপে দ্বিতীয় হয়ে। উরুগুয়ের হয়ে বিরতির আগেই জোড়া গোল করে যান আরস্কাতা। ঘানা দু-দুবার পেনাল্টি পেয়েও গোল করতে পারেনি। তবে তাতে সমস্যা মেটেনি সুয়ারেজ বাহিনীর।