৩২ দলের মধ্যে পাঁচ দল এখনও পর্যন্ত কোয়ালিফাই করেছে নকআউট পর্বে। ছিটকে গিয়েছে পাঁচ দল। এখনও শেষ ষোলোর লড়াইয়ে রয়েছে ২২ দল। গ্রুপ পর্যায়ের শেষদিকে, এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে, যেখানে দুই বা ততোধিক দল একই গ্রুপে একই পয়েন্টে ফিনিশ করতে পারে। সেক্ষেত্রে ফিফার নিয়ম প্রযুক্ত হবে।
বিশ্বকাপে ফিফার গাইডলাইন অনুযায়ী, একাধিক মানদণ্ড রয়েছে, যাতে নির্ধারিত হবে কোন দল কোয়ালিফাই করবে, কারা ছিটকে যাওয়ার তালিকায় নাম লেখাবে।
১) পয়েন্ট: কোয়ালিফাই করার সবথেকে বড় শর্ত পয়েন্ট। প্রতি জয়ের জন্য নির্ধারিত ৩ পয়েন্ট। ড্র এবং হারের জন্য বরাদ্দ যথাক্রমে ১ এবং ০ পয়েন্ট। গ্রুপে সর্বাধিক পয়েন্ট পাওয়া দল বিনা বাধায় শেষ ষোলোয় পৌঁছবে। এক গ্রুপে দুই বা ততোধিক দল যদি একই পয়েন্টে ফিনিশ করে তাহলে ফিফা দ্বিতীয় শর্ত অবলম্বন করবে, তা হল গোল পার্থক্য।
২) গোল পার্থক্য: যদি দুই দল একই পয়েন্টে থাকে থাকলে গোল পার্থক্য (গোল করা-গোল হজম করা) খতিয়ে দেখা হবে।
৩) সর্বমোট গোল: যদি গ্রুপ পর্বে পয়েন্ট এবং গোল পার্থক্য একই থাকে, তাহলে দুই দলকে পৃথক করার জন্য দেখা হবে দুই দলের তিন ম্যাচের গোল সংখ্যা। ১৯৮২ সালে স্মরণীয়ভাবে এই নিয়ম প্রয়োগ করা হয়। সেবার ইতালি এবং ক্যামেরুন একই পয়েন্টে এবং একই গোল পার্থক্য নিয়ে গ্রুপ পর্ব ফিনিশ করে। তবে বেশি গোল করার সুবাদে ইতালি গ্রুপ পর্বের বাধা পেরোয় এবং চ্যাম্পিয়নও হয় পরবর্তী পর্যায়ে।
৪) হেড টু হেড রেকর্ড: প্ৰথম তিন নিয়মই যদি দুই বা তার বেশি দলকে বিচ্ছিন্ন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে হেড টু হেড রেকর্ড বিচার্য হবে। সেক্ষেত্রে হেড টু হেড ম্যাচের সর্বাধিক পয়েন্ট, গোল পার্থক্য এবং গোল করা- তিনটে বিষয়ই দেখা হয়। এই নিয়মে এগিয়ে থাকা দলকেই পরবর্তী পর্যায়ে তোলা হয়।
৫) ফেয়ার প্লে নিয়ম: প্ৰথম চারটে শর্ত মেনেও দুই দলকে যদি পৃথক না করা যায়, তাহলে গ্রুপ পর্বে সংশ্লিস্ট দলের ফেয়ার প্লে রেকর্ড (লাল কার্ড, হলুদ কার্ড, ফাউল সংখ্যা) খতিয়ে দেখা হবে।
৬) ড্র: কোনওভাবেই দুই দলকে আলাদা না করা গেলে শেষমেশ ড্রয়ের আয়োজন করতে হবে। যেখানে ম্যাচ ভিত্তিক পরিসংখ্যান নয়, ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে থাকতে হয় সংশ্লিস্ট দলগুলিকে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এখনও এই নিয়ম প্রযুক্ত হয়নি।