বিশ্বফুটবলে নতুন 'যৌনাঙ্গ' স্টেডিয়াম লুসেইলে প্ৰথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল লিওনেল আন্দ্রেস মেসির আর্জেন্টিনা। আর প্ৰথম ম্যাচেই অবিশ্বাস্য হার হজম করতে হয়েছে নীল-সাদা জার্সিধারীদের। হারের পর লকার রুমে আর্জেন্টিনীয় ফুটবলারদের মধ্যে কোনও বাতচিত হয়নি। মিক্সড জোন-এ ফুটবলারদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় ছিল সাংবাদিককুল। সেখানেই মেসি বিড়বিড় করে বলে যান, 'ওঁরা সকলেই ডেড'। সতীর্থদের অবস্থা সম্পর্কে এমনটাই জানিয়ে দেন এলএম১০।
Advertisment
হতাশ মেসির আরও বক্তব্য, "সত্যিটা বলব? ওঁরা সকলেই এখন মৃত। এটা ভয়ঙ্কর আঘাত। কারণ এভাবে যে আমাদের টুর্নামেন্ট অভিযান শুরু করতে হবে, ভাবিনি। তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে চেয়েছিলাম। যাতে মানসিক শান্তি আসে। তবে সবকিছুর পিছনেই কারণ রয়েছে। আমাদের বাকি ম্যাচে জিততে হবে। আমাদের হাতেই রয়েছে আমাদের ভাগ্য।"
জানা গিয়েছে স্টেডিয়ামের লকার রুমে প্রায় এক ঘন্টা হারের পর ছিলেন ফুটবলাররা। সেখানে সেভাবে নিজেদের মধ্যে আলোচনা হয়নি। তবে মরু শহরে নিজেদের আস্তানায় ফেরার সময় মেসি টিম বাসে দাঁড়ান। আর্জেন্টিনার বিখ্যাত প্রচারমাধ্যম ক্লারিন-এ এমনটাই বিস্তারিত জানানো হয়েছে। কাতারের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে পুরো আর্জেন্টিনা স্কোয়াড রয়েছে। সেখানে ফেরার সময়েই মেসি টিম বাসে সতীর্থদের উদ্দীপ্ত করতে ছোটখাটো বক্তৃতা দেন। সতীর্থদের আরও শক্তিশালী হয়ে সামনের ম্যাচে ফোকাস করার কথা জানান।
ক্যাম্পাসে পৌঁছনোর পর বিষন্ন আর্জেন্টিনীয় স্কোয়াডের খুব কম ফুটবলারই স্ন্যাকসের জন্য নিজেদের রুম ছেড়ে বেরোন। নিজেদের রুমেই আবদ্ধ রাখেন তারকারা। তারপরই কোচ লিওনেল স্কালোনি টিম মিটিং ডাকেন। দলের অধিকাংশ তরুণ ফুটবলারদের এরকম পরিস্থিতি মোকাবিলা করার অভিজ্ঞতা নেই। তাঁদের ভরসা জোগানোর জন্যই আর্জেন্টিনীয় বস টিম মিটিং ডাকেন।
ক্লারিন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ ফুটবলারই অনভিজ্ঞ। মানসিকভাবে চাঙ্গা করা ছিল টিম মিটিংয়ের উদ্দেশ্য। নৈশভোজেও ভীষণ টেনশনের আবহ ছিল। তবে ফুটবলাররা এরকম পরস্থিতিতে পাশে দাঁড়ান একে অন্যের। সোশ্যাল।মিডিয়ায় ডি মারিয়া, পাপু গোমেজ, দে পল, দিবু মার্টিনেজরা সতীর্থদের উদ্দীপনা করার বার্তা দেন।
প্ৰথম হারের পর আর্জেন্টিনার অনুশীলনের সূচিও বদলে ফেলা হয়েছে। এতদিন স্থানীয় সময় সন্ধে ৬ টা অথবা দুপুর ২টোয় অনুশীলন করত আলবিসিলেস্তেরা। বুধবার থেকে সকাল ১১টা থেকে অনুশীলন শুরু হবে।