কাতারের রক্ষণশীলতা, গোঁড়ামি নিয়ে বহু তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। ফিফাও কাতারের দাবির কাছে বশ্যতা স্বীকার করে মেনে নিয়েছে সবকিছু মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। পুরো ঘটনায় এবার অভিনবভাবে প্রতিবাদ জানাল জার্মানির ফুটবলাররা। ফুটবল মানে যে বৈচিত্র্য তা প্রমাণ করার জন্যই এবার জাপান ম্যাচের আগে মুখ ঢেকে ফটোসেশন করল জার্মানি।
বিশ্বকাপে 'ওয়ান লাভ' আর্মব্যান্ড পরলেই ব্যান করার হুমকি দিয়েছে ফিফা। তারপরেই মাঠে দেখা গেল ফিফার অভিনব প্রতীকী প্রতিবাদ। জার্মানির ফুটবল সংস্থা পরে এই বিষয়টি কনফার্ম করে। বিশ্বফুটবলে বৈচিত্র্য এবং গ্রহনীয়তা বিষয়ে বার্তা দিতে ইংল্যান্ড, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস সহ বেশ কিছু দেশ 'ওয়ান লাভ' আমর্ব্যান্ড পরে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে কাতারের চাপে ফিফা হুমকি দেওয়ার পরেই ইউরোপীয় দেশগুলি সরে আসে সেই পরিকল্পনা থেকে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের জন্য ফিট নন অর্ধেক আর্জেন্টিনীয় তারকাই! প্রকাশ্যে এল মেসিদের বিরাট আপডেট
পরে জার্মানির ফুটবল সংস্থা টুইট করে জানায়, "ক্যাপ্টেনের আর্মব্যান্ডের মাধ্যমে আমরা এক দৃষ্টান্ত রাখতে চেয়েছিলাম। সেই মূল্যবোধকে সম্মান জানানোর জন্য যার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে রয়েছে আমাদের জাতীয় দল- বৈচিত্র্য এবং পারস্পরিক সম্মানবোধ।"
"অন্য দেশের সঙ্গে সমবেতভাবে কন্ঠ ছাড়তে হবে। এটা কোনও রাজনৈতিক বার্তা নয়। মানবাধিকার নিয়ে কোনও মতানৈক্য থাকতে পারে না। ওঁরা এটা না জানিয়েও মাঠে নামতে পারত। তবে সেটা হয়নি। সেই কারণে এভাবে বার্তা দেওয়া জরুরি ছিল। এভাবে প্রতিহত করার অর্থ নিজেদের মুখ বন্ধ করতে বলা। এভাবেই আমরা নিজেদের দাবিতে অটল থাকব।"
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার পর এবার অঘটনের বলি জার্মানি! জাপানি বোমায় ছিন্নভিন্ন মুলাররা
বিশ্বকাপ শুরুর আগে ফিফা নিজস্ব আর্মব্যান্ডের পরিকল্পনা চালু করে। প্রত্যেক দলের ক্যাপ্টেনদের বলা হয়েছিল বিভিন্ন রংয়ের আর্মব্যান্ড পরে সামাজিক বার্তা দিতে। যেমন- ফুটবল 'বিশ্বকে একত্রিত করে', খাবার ভাগাভাগি করে নিও'। তবে যে দল 'ওয়ান লাভ' আর্মব্যান্ড পরবে তাদের সরাসরি নিষিদ্ধ করা হবে, এমন হুমকি দেয় ফিফা। ফিফার রুলবুক অনুযায়ী সেক্ষেত্রে ফুটবলাররা সরাসরি হলুদ কার্ড দেখবে।