বিশ্বকাপে ফ্রান্স যথারীতি নিজেদের জার্সিতে জাতীয় প্রতীক মোরগ লাগিয়ে খেলতে নামছে। আর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগেই সেই প্রতীক যেন আলাদা তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে, প্রত্যেকবার।
নীল জার্সিতে কেন কী এই মোরগের প্রতীক? টকস্পোর্টসের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, "প্ৰথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্রান্সের প্রতিরোধ এবং সাহসিকতার চিহ্ন হয়ে উঠেছিল এই মোরগ। তারপরে গোটা ফ্রান্স জুড়ে এই মোরগ-প্রতীক পরবর্তীতে আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করে। আধুনিক ফ্রান্সের সঙ্গেও অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক এই মোরগের। দেশের ফুটবল এবং রাগবি কিটসের সঙ্গে মোরগ-চিহ্ন থাকা এখন কার্যত নিয়ম হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও পোস্টাল স্ট্যাম্প, যুদ্ধকালীন স্মারক এবং বিভিন্ন লোগোতে ব্যবহার করা হয় এই মোরগ-প্রতীক।"
আরও পড়ুন: ভারতে খেলে যাওয়া গোলকিপারের হাতেই বিদায় স্পেনের! মরোক্কার ইয়াসিনের ইন্ডিয়া-কানেকশন চমকে দেবে
সেই ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ফ্রান্সের জাতীয় ফুটবল দলের জার্সিতে যে মোরগ-প্রতীক লাগানো রয়েছে, তা আদতে গেইলিক (ফরাসি জাতি) মোরগ। ফ্রান্সকে ল্যাটিনে বলা হয় গাউল। জায়গার নামানুসারে এই এলাকার অধিবাসীদের চিহ্নিত করা হত 'গাললুস' নামে। ফরাসিতে 'গাললুস'-এর অন্য অর্থ আবার মোরগ।।
প্ৰথমে এই মোরগকে ঠাট্টা-তামাশার বিষয়ে উল্লেখ করা হত। তবে শেষ পর্যন্ত এই মোরগ-প্রতীকই রয়ে যায় রাজকীয় মর্যাদা পেয়ে। ফ্রান্সের রাজারা এই মোরগ ব্যবহার করতে থাকেন সাহস এবং শৌর্য্যের প্রতীক হিসাবে। ফরাসি বিপ্লবের পর এই প্রতীক ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এই মোরগকে দেখা হত সেই সমস্ত মানুষদের প্রতীক হিসেবে যাঁরা এই দেশ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। ফ্রান্সের উত্থান হিসাবে রিপাবলিকানরা বরাবর রাজকীয় আখ্যান প্রত্যাখান করতেন, সেই হিসাবে মোরগ হয়ে দাঁড়ায় প্রকৃত শিকরের প্রতীক হিসাবে।
আরও পড়ুন: ‘লজ্জা লাগা দরকার’! রোনাল্ডোকে বাদ দিতেই পর্তুগাল কোচকে বীভৎস আক্রমণ মিসেস রোনাল্ডোর
যাইহোক, ফরাসি দল ফর্মের চূড়ায় রয়েছে চলতি বিশ্বকাপে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের সবথেকে বড় বাজি হতে চলেছেন কিলিয়ান এমবাপে স্বয়ং। মঙ্গলবার একাকী ইনডোরে অনুশীলন করেছিলেন তারকা। বুধবার দলের সঙ্গেই দেখা যায় সুপারস্টারকে। ফরাসি দৈনিক লে ইকুঁয়েপ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিদিয়ের দেশ সেটপিসে বেশি জোর দিচ্ছেন।