Advertisment

অতিমারীর হাত ধরেই খেলায় বাড়ছে দুর্নীতি, বলছে রিপোর্ট

অতিমারীর পর খেলার সততা ধরে রাখা একটা চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি, ক্রীড়া সংস্থা ও দেশের কেন্দ্রীয় সরকারকে দুর্নীতি বিরোধী টুলস গড়ে তোলার বিষয়ে জোর দিতে বলা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ক্রীড়া দুনিয়া যত করোনা অতিমারীর কাছে আত্মসমর্পণ করছে, আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, ততই খেলায় প্রকোপ বাড়ছে দুর্নীতির। এই নিয়ে সম্প্রতি ইউনাইটেড নেশনস, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি এবং ইন্টারপোল একত্রে একটি রিপোর্ট বের করেছে। সেখানেই বলা হয়েছে, খেলোয়াড়দের বেতন যত দেরিতে দেওয়া হবে, পে কাট করা হবে ততই তারা দূর্নীতির কাছে এগিয়ে যাবে।

Advertisment

তিনমাস বিশ্ব স্তব্ধ থাকার পর ধীরে ধীরে খেলা শুরু হচ্ছে। ইউরোপে পেশাদারি ফুটবল লিগ যেমন চালু হয়েছে, তেমনই ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে ক্রিকেট মাঠে বল গড়াবে এই মাসেই।চলতি সপ্তাহে আবার ফর্মুলা ওয়ান জিপি চালু হবে।

তবে এই খেলা শুরু হয়েছে অভূতপূর্ব আর্থিক সঙ্কটের কারণে। ক্রীড়া দুনিয়ার সঙ্গে জড়িত লাখো লাখো ব্যক্তি যেমন কর্মহারা হয়েছেন, তেমনই বেতন কাটছাঁট হয়েছে প্রায় প্রত্যেকের।

এরপরেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি কার্যত বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, অতিমারীর পর খেলার সততা ধরে রাখা একটা চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি, ক্রীড়া সংস্থা ও দেশের কেন্দ্রীয় সরকারকে দুর্নীতি বিরোধী টুলস গড়ে তোলার বিষয়ে জোর দিতে বলেছেন।

তিনটে সংস্থার তরফে প্রকাশিত এই রিপোর্টে সংস্থাগুলোকে আরো পরামর্শ দেওয়া হয়েছে শীর্ষ পর্যায়ের এথলিটদের থেকে বেতন কাটছাঁট হলেও আর্থিকভাবে দুর্বল এথলিটদের সাহায্য করা হোক। আইওসি, ইন্টারপোল এবং ইউনাইটেড নেশনস-এর এই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেন কঠোর আইন তৈরি করা হয়। এই কারণেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান অজিত সিং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আইন প্রণয়ন করার কথা বলেছেন।

এর আগেও ভারত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আইন তৈরিতে অনেকটাই এগিয়েছিল। যদিও এখনো তা পুরোপুরি কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। দু-বছর আগে ল কমিশন জুয়া খেলাকে আইনসিদ্ধ করার দাবী জানায়। যাতে আইনের খাঁচায় বন্দি করে পড়ে নতুন নিয়ম আনা যায়। কেন্দ্রীয় সরকার এখনো এই বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

cricket
Advertisment