ভারতের প্রায় প্রতিটি খেলায় একজন করে কিংবদন্তি বিরাজমান। যাঁরা দেশের গর্ব, দশের গর্ব। তাঁদের পারফরম্য়ান্স সোনার অক্ষরেই ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে। কিন্তু এহেন তারকাদের জীবনে এরকম বেশ কিছু ঘটনা রয়েছে যা আমাদের কাছে একেবারেই অজানা। সেরকমই দেশের পাঁচ ক্রীড়ানক্ষত্রের চমকপ্রদ পরিসংখ্যান দিয়ে সাজানো এই প্রতিবেদন।
শচীন তেনডুলকর একবার পাকিস্তানের হয়ে খেলেছিলেন: ১৯৮৭-তে টেস্ট সিরিজ শুরু হওয়ার আগে ভারত-পাকিস্তান প্রদর্শনী ম্য়াচ খেলেছিল। ইমরান খানের পাক দলের একজন ফিল্ডার কম পড়ে গিয়েছিল তখন। সেসময় বছর তেরোর শচীন পাকিস্তানের হয়ে ফিল্ডিং করেছিলেন। এর ঠিক দু বছর পরেই ভারতীয় দলের জার্সিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক করেছিলেন মাস্টারব্লাস্টীর।
২৫০ টাকার স্কলারশিপেই কেরিয়ার শুরু পিটি ঊষার: অভাবী সংসারে জন্মেছিলেন পিটি ঊষা। তার উপর আবার তাঁর স্বাস্থ্য়ও সেরকম ভাল ছিল না। কিন্তু তাঁর ট্য়ালেন্টই তাঁকে প্রতি মাসে ২৫০ টাকার স্কলারশিপের ব্য়বস্থা করে দিয়েছিল। এই টাকার সুবাদে তিনি কেরলের স্পোর্টস স্কুলে পড়াশোনার সুযোগ পান।এখানেই পিটি ঊষা ট্রেনিং নেওয়া শুরু করেন। বাকিটা ইতিহাস। এখান থেকেই ‘কুইন অফ ট্র্য়াক অ্য়ান্ড ফিল্ড’ হয়ে ওঠেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়াতেই ধ্য়ানচাঁদের চার হাতের মূর্তি: ‘হকির জাদুকর’ নামেই পরিচিত ধ্য়ানচাঁদ। আলাদা করে আর কোনও পরিচয় দেওয়ার দরকার নেই তাঁর। তিনবারের অলিম্পিক স্বর্ণপদক জয়ী এই কিংবদন্তির একটি মূর্তি রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ভিয়েনায়। এই মূর্তিটিতে ধ্য়ানচাঁদের দুটি হাতের বদলে চারটি হাত প্রদর্শিত হয়েছে। প্রতিটি হাতেই ধরা একটি করে হকি স্টিক. ধ্য়ানচাঁদের অসাধারণ স্কিল আর বল কন্ট্রোল বোঝানোর জন্য়ই অতিরিক্ত দুটি হাত বসানো হয়েছে।
বিশ্বনাথন আনন্দ প্রথম ক্রীড়াব্য়াক্তিত্ব হিসেবে পদ্মবিভূষণ পান: পাঁচবারের বিশ্বচ্য়াম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দই দেশের প্রথম ক্রীড়াবিদ হিসেবে পদ্মবিভূষণ পেয়েছিলেন। ২০০৭-এ দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত হন তিনি। ১৯৮৩-তে দেশের প্রথম গ্র্য়ান্ডমাস্টার হয়ে নজির গড়া ভিশি ৮৫-তে অর্জুন পুরস্কার, ৮৭-তে পদ্মশ্রী, ৯১-৯২ সালে রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কার পান। ২০০০-এ পদ্মভূষণের পালক যুক্ত হয় তাঁর মুকুটে।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে অন্য়তম দ্রুত গোল বিজয়নের: ভারতীয় ফুটবলের অন্য়তম সেরা কিংবদন্তি আইএম বিজয়ন। দেশের তিনবারের বর্ষসেরা ফুটবলারকে দেশের অন্য়তম সেরা স্ট্রাইকার হিসেবে গণ্য় করা হয়। ১৯৯৯-র সাফ গেমে বিজয়ন ১১ সেকেন্ডে গোল করেছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এই গোলটিই অন্য়তম দ্রুত গোল হিসেবে নথিভুক্ত রয়েছে।