করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ছেলে। নমুনার ফলাফলে কোভিডের ফলাফলে তখনও জানা যায়নি ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত কিনা। তবে নিরাপত্তার জন্য নিজের ৫ বছরের ছেলেকে খুন করে ফেলল ফুটবলার পিতা। তার পরেই গ্রেফতার করা হয়েছে সেই ব্যক্তিকে।
এমনই বেনজির কাণ্ড ঘটেছে তুরস্কে। কোহভের তকতাস নামের এক ফুটবলার ছেলেকে খুন করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন। জানিয়ে দেন, বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেছেন ছেলেকে। তুরস্কের সংবাদসংস্থা আনাদলু এজেন্সি এমনটাই জানিয়েছে।
করোনার পরীক্ষায় পরে ছেলের নমুনা নেগেটিভ আসে। তার আগেই মৃত্যু ঘটেছিল তার। সেই মৃত্যুতে সন্দেহের উদ্রেক হয়নি কারোর। এক ঘন্টা সেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছিল।
তুরস্কের প্রথমসারির লিগে অতীতে খেললেও তকতাস বর্তমানে তিনি অপেশাদার লিগে বুরসা ইলদিরইমস্পুরের হয়ে খেলেন। ২০০৭ থেকে ২০০৯ এর মধ্যে হাসেটপে তে খেলেছিলেন তকতাস। সেই ক্লাব কয়েক মরশুম তুরস্কের সুপার লিগেও খেলেছিল।
তুরস্কের হাবেরতুর্ক চ্যানেলে জানানো হয়েছে সেই ব্যক্তি নিজেই পুলিশের কাছে গিয়ে স্বীকার করে নেন পুত্রকে বালিশে চাপা দিয়ে খুন করেছেন তিনি। কারণ পুত্রকে তিনি মোটেই ভালোবাসেন না। অনুশোচনায় ভুগে ছেলের মৃত্যুর ১১ দিন পরে তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন।
এপ্রিলের ২৩ তারিখে প্রবল জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল সেই ছেলে। তুরস্কের উত্তর পশ্চিম প্রদেশের বারসা প্রদেশের ঘটনা। সেদিন দেশে শিশুদিবসও ছিল। সেই ছেলেকে তার বাবার সঙ্গেই আইসলেশনে রাখা হয়।
সেদিনই তার পুত্র কাশিমকে হত্যা করেন ফুটবলার পিতা। তারপর হাসপাতালে জানান, শারীরিক অবস্থার হঠাৎই অবনতি ঘটেছে তাঁর ছেলের। আইসিইউ তে কাশিমকে স্থানান্তরিত করা হলে দু ঘন্টার মধ্যেই মারা যায় সে।