PSL 2025 cancelled: পাকিস্তানে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে প্রাণটাই চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। কোনওরকমে মিসাইল হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন PSL 2025 খেলতে যাওয়া বিদেশি ক্রিকেটাররা। এমন অবস্থা হয়েছিল যে 'ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি' অবস্থা ক্রিকেট তারকাদের। এবার তো নয়ই, ভবিষ্যতেও পাকিস্তানে ক্রিকেট খেলতে যাবেন কি না তাঁরা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার ড্যারিল মিচেল আর কখনও পাকিস্তানে ক্রিকেট খেলতে যাবেন না বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের পেসার টম কুরান যখন এয়ারপোর্টে পৌঁছান, তখন জানতে পারেন যে বিমানবন্দর বন্ধ। এই খবর শোনার পর তিনি বাচ্চাদের মতো ভেঙে পড়ে কাঁদতে শুরু করেন। বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন পাকিস্তান সুপার লিগে (PSL) অংশ নেওয়া বিদেশি ক্রিকেটারদের দুরবস্থার কথা তুলে ধরেছেন। জানিয়েছেন কীভাবে পাকিস্তানে থাকা বিদেশি ক্রিকেটাররা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনার কারণে পিএসএল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।
প্রথমে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বাকি ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে আয়োজন করতে চেয়েছিল, কিন্তু আমিরশাহী ক্রিকেট বোর্ড (ECB) সেই প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দেয়। এরপর পিএসএল বাতিল করা ছাড়া পাক ক্রিকেট বোর্ডের আর কোনও উপায় ছিল না। একই কারণে BCCI-ও IPL 2025 এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে। পিএসএল-এ অংশ নেওয়া বিদেশি খেলোয়াড়দের দুবাইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে তাঁদের নিজ নিজ দেশে ফেরার জন্য ফ্লাইট বুক করা হয়।
আরও পড়ুন পাকিস্তানে মিসাইল হামলা! অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ৪ অজি তারকা ক্রিকেটার, স্তম্ভিত ক্রিকেট দুনিয়া
‘দুবাই পৌঁছে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি’
লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলা রিশাদ হোসেন বলেন, খুব ভয় পেয়েছিলাম যখন আমরা শুনলাম যে আমাদের চার্টার্ড ফ্লাইট শনিবার যে বিমানবন্দর থেকে উড়েছিল, তার মাত্র ২০ মিনিট পর সেখানে মিসাইল হামলা হয়েছে। ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিশাদ বলেন, "দুবাই পৌঁছানোর পরই আমরা খবর পেলাম যে আমাদের বিমান টেক-অফের ঠিক ২০ মিনিট পরে সেই এয়ারপোর্টে মিসাইল হামলা হয়েছে। বেশ ভয়ের এবং আতঙ্কের খবর ছিল। ব্রিটিশ টম কুরান এয়ারপোর্টে পৌঁছনোর পর জানতে পারেন এয়ারপোর্ট বন্ধ। তারপর তিনি বাচ্চাদের মতো কাঁদতে শুরু করেন।"
তিনি আরও বলেন, "দুবাইয়ে নামার পর মিচেল আমাকে বললেন যে তিনি আর কখনও পাকিস্তানে খেলতে আসবেন না, বিশেষ করে এই ধরনের পরিস্থিতিতে। তাঁরা সবাই আতঙ্কিত ছিল। এখন দুবাই পৌঁছেই সবাই কিছুটা স্বস্তি অনুভব করছে।"
বিদেশি ক্রিকেটাররা ছিলেন আতঙ্কে
রিশাদ হোসেন জানান, "আমি যখনই খেলতে যাই, আমার পরিবার সবসময় আমার জন্য চিন্তিত থাকে—পরিস্থিতি যেমনই হোক। এবার যখন তাঁরা পাকিস্তান সম্পর্কে খবর শুনল—বিভিন্ন জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ ও মিসাইল হামলার কথা—তখন স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা মানসিক চাপে ছিল।" তিনি বলেন, "আমি ব্যক্তিগতভাবে অন্যান্য ক্রিকেটারদের শান্ত করার চেষ্টা করেছি।"