ফুটবলার হিসাবে চালিয়ে যাবেন নাকি বেছে নেবেন অন্য কোনো পেশা- তা নিয়ে বেজায় দ্বিধায় পড়েছেন মাহমুদ এল আমনা। বয়স থাবা বসিয়েছে শরীরে। যে পায়ে বিপক্ষ ফুটবলারদের তুর্কি নাচন নাচান, ডিফেন্স চেরা পাস বাড়ান, তা শ্লথ হয়ে গিয়েছে অনেকটাই।
মিশর থেকেই আল আমনা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে বলে দিলেন, “ইতিমধ্যেই আমার কাছে কোচ হওয়ার প্রস্তাব এসেছে। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। ব্যক্তিগতভাবে আমার ধারণা এখনো আমার মধ্যে বেশ কিছু বছরের খেলা বেঁচে রয়েছে।”
আরো পড়ুন: EXCLUSIVE: মরিনহোর মতোই ধুরন্ধর হাবাস, এটিকেএমবি প্লে অফে! বলছেন এলকো
আইজল এফসি-কে আইলিগ চ্যাম্পিয়ন করে ভারতীয় ফুটবলে নিজের জাত চেনান সিরিয়ান তারকা। আইজলকে দেশের সেরা করে তোলা খালিদ-আমনা জুটি তারপরেই পাড়ি জমান কলকাতায়। ইস্টবেঙ্গলে শুরু হয় নতুন অধ্যায়। কোচ খালিদের অধীনে ইস্টবেঙ্গলকে কলকাতা লিগও চ্যাম্পিয়ন করেন আমনা। যদিও অল্পের জন্য আইলিগ খেতাব থেকে দূরে সরে যায় খালিদের লাল হলুদ।

খালিদ জমানা শেষের পরেই ইস্টবেঙ্গলে আলেহান্দ্রো মেনেন্দেজ গার্সিয়া যুগ শুরু হয়। বয়স বেশি, এই অজুহাতে লাল হলুদ ক্লাবে ব্রাত্য করে দেওয়া হয় সিরিয়ান মায়েস্ত্রোকে। তারপর মিনার্ভা পাঞ্জাব হয়ে ফের আমনা ফিরে আসেন কলকাতায়, সাদার্ন সমিতির হয়ে খেলতে। কলকাতা লিগ মাতিয়ে দেন তিনি।

কলকাতা জীবন এখন অতীত আমনার জীবনে। এখন সামনে এগিয়ে যেতে চাইছেন তিনি। তারকা মিডফিল্ডার বলে দিচ্ছেন, “অবসর নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। কারণ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশয় রয়েছে আমার। কিছুদিন আগেই মধ্যপ্রাচ্যের দুটো নামি ক্লাবের অফার পেয়েছি, বিশাল বেতন- আল ইতিহাদ (সিরিয়া), হুটেন এফসি (সিরিয়া)। ঘটনা হল, ফুটবল ছেড়ে দেওয়ার পর আমি যে কোচ হব, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছি।”
আরো পড়ুন: EXCLUSIVE: মারাদোনার সঙ্গে একটাও ছবি নেই! আক্ষেপ নিয়েই কফিনবন্দি দিয়েগোর ‘শিক্ষক’
কোচ হয়েই আগামী দিনে মাঠ কাঁপাতে চাইছেন তিনি। গল্প করার ছলে আমনা বলেই চলেন, “ভারত থেকে ইতিমধ্যেই ডি লাইসেন্স করেছি। এবার ইজিপ্ট থেকে সি লাইসেন্স করতে চাইছি।” ফুটবলার নাকি কোচ- কোন অবতারে সামনের মরশুমে দেখা যাবে তাঁকে, বেশ দ্বিধাগ্রস্ত শোনায় তাঁর গলা।

এই মানসিক টানাপোড়েনের মাঝেই আমনা জানিয়ে দেন, “আইএসএল সেভাবে ফলো করছি না। তবে ডার্বি দেখেছি। ইস্টবেঙ্গল হারায় কষ্ট পেয়েছি। আশা করি, আগামী দিনে ওরা ভালো পারফরম্যান্স মেলে ধরবে।” নীল নদের তীরে বসে থাকলেও, আমনার হৃদয় পড়ে যে কলকাতাতেই!
Read the full article in ENGLISH
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন