লড়াই চলছিল গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই। সেই লড়াইয়ে হার মানলেন প্রশান্ত ডোরা। মঙ্গলবার রাজারহাটের টাটার নার্সিংহোমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিন প্রধান চুটিয়ে খেলা তারকা গোলরক্ষক। দুরারোগ্য লিম্ফহিস্টিওসাইটোসিস (এইচএলএইচ) রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি।
তাঁর দাদা হেমন্ত ডোরা কিছুদিন আগেই জানিয়েছিলেন, প্রয়োজন হলে তিনি নিজের রক্ত দিয়ে সাহায্য করবেন। জানা গিয়েছে, O+ গ্রুপের রক্তের প্রয়োজন ছিল তাঁর। প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রও হেমন্ত ডোরাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন। আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সিরাজ-শার্দুল বাদ, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ে খোলনলচে দল নামাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া
গত কয়েকদিন ধরেই বিপজ্জনক মাত্রায় প্লেটলেট নেমে যাচ্ছিল। এদিন আর 'দুর্ঘটনা' রোখা গেল না! মাত্র ৪৪ বছরেই জীবনাবসান ঘটল তাঁর।
আদি বাড়ি ছিল হুগলির বৈদ্যবাটিতে। তবে তারপর পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেন দমদম নাগেরবাজারে। বিখ্যাত এই গোলরক্ষক তিন প্রধানে খেলার আগে কেরিয়ার শুরু করেন টালিগঞ্জ অগ্ৰগামী এবং ক্যালকাটা পোর্ট ট্রাস্টের হয়ে। নজর কাড়ার পরেই তাঁকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। তিন প্ৰধানে চুটিয়ে খেলার পাশাপাশি জেসিটির জার্সিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
জাতীয় দলে তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন প্রি অলিম্পিকের কোয়ালিফাইং ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক অভিষেক ঘটে তাঁর। তারপর সাফ কাপেও অংশ নিয়েছেন। চাকরি করতেন ব্যাংকে। খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর কোচিংয়ের সঙ্গেও জড়িয়ে ছিলেন।
তাঁর মৃত্যুতে দেশের ফুটবলে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কলকাতার তিন প্রধানই তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন