বছরের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে শ্রীলঙ্কা ও ভারত। তার আগেই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে বিতর্ক। কিছুদিন আগে অপসারিত লঙ্কান কোচ চণ্ডিকা হাতুরুসিংহে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করলেন। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল হাতুরুসিংহেকে। তারপরেই চুক্তির নিয়মভঙ্গের অভিযোগে বোর্ডের কাছে বিশাল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দাবি তাঁর।
শ্রীলঙ্কার প্রথমসারির প্রচারমাধ্যম সানডে আইল্যান্ড সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাতুরুসিংহে ও শ্রীলঙ্কান বোর্ডের চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে আরও দেড় বছর বাকি ছিল। তার আগেই কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের সম্মান কলুষিত হয়েছে। এই দাবি এনেই ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তিনি। ভারতীয় অর্থে যার পরিমাণ ৩৫ কোটি টাকারও বেশি।
শ্রীলঙ্কা দলের কোচ থাকাকালীন চণ্ডিকা হাতুরুসিংহে (টুইটার)
সেই রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, শ্রীলঙ্কান বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, ছয় মাসের ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি তারা। অপসারণের সময়ে মাসিক ৬০ হাজার মার্কিন ডলার বেতন পেতেন হাতুরুসিংহে।
বিশ্বকাপে শোচনীয় পারফরম্যান্স করেছিল শ্রীলঙ্কা। ছয় নম্বরে লিগ শেষ করেছিল দ্বীপরাষ্ট্রের ক্রিকেটাররা। সেমিফাইনালেও উঠতে ব্যর্থ হয় তারা। তারপরেই শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো জানিয়েছিলেন, হাতুরুসিংহে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বেতন পেয়েছেন। তারপরে হাতুরুসিংহ সহ শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফদেরও ছাঁটাই করা হয়।
ফার্নান্দোর পরামর্শ মতো, হাতুরুসিংহের অর্ধেক বেতনে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের পুনরুদ্ধারে রাজি হয়ে যান মিকি আর্থার। যিনি কিছুদিন আগেই পাকিস্তান ক্রিকেট থেকে চাকরি খুইয়েছিলেন।
Read the full article in ENGLISH