/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/09/team-india-4.jpg)
ভারত ওডিআই বিশ্বকাপ স্কোয়াড 2023 ঘোষণা
দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ চলছে।।এমন সময়েই দুঃসংবাদ ভারতের। প্রয়াত হলেন জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন এবং তর্কাতীতভাবে দেশের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঁ হাতি স্পিনার বিষেন সিং বেদি।
টিম ইন্ডিয়ার হয়ে খেলে ৬৭ ম্যাচে ২৬৬ উইকেট নিয়েছেন। ইনিংসে পাঁচ উইকেটের সংখ্যা ১৪টি। এক টেস্টে ১০ উইকেট সংগ্রহের নজির ও রয়েছে তাঁর নামের পাশে। ৭৭ বছরের কিংবদন্তি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। রয়ে গেলেন স্ত্রী অঞ্জু, পুত্র অঙ্গদ এবং কন্যা নেহা।
Deeply saddened by the passing of noted cricketer Shri Bishan Singh Bedi Ji. His passion for the sport was unwavering and his exemplary bowling performances led India to numerous memorable victories. He will continue to inspire future generations of cricketers. Condolences to his…
— Narendra Modi (@narendramodi) October 23, 2023
টিম ইন্ডিয়ার স্বর্ণযুগের স্পিনারদের অন্যতম ছিলেন বিষেন সিং বেদি। এরাপল্লী প্রসন্ন, ভাগবত চন্দ্রশেখর এবং শ্রীনিবাস ভেঙ্কট রাঘবনের সঙ্গে বেদিকে জুড়ে তৈরি হয়েছিল প্রবাদপ্রতিম স্পিন-চতুষ্টয়ী। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৮- এক দশকের বেশি সময় ধরে চার এই কিংবদন্তি স্পিনার ভারতের বোলিং আক্রমণের শিরদাঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। ১৯৯০-এ অল্প সময়ের জন্য টিম ইন্ডিয়ার ম্যানেজারের ভূমিকাও পালন করেছেন নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ড সফরের সময়।
The BCCI mourns the sad demise of former India Test Captain and legendary spinner, Bishan Singh Bedi.
Our thoughts and prayers are with his family and fans in these tough times.
May his soul rest in peace 🙏 pic.twitter.com/oYdJU0cBCV— BCCI (@BCCI) October 23, 2023
ভারতের বিদেশ সফররত দলের ম্যানেজার হওয়ার পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচক ছিলেন একটা টার্মে। মনিন্দর সিং এবং মুরলি কার্তিকের মত জাতীয় দলে খেলা স্পিনারদের মেন্টরও ছিলেন তিনি। ক্রিকেট বিশ্বে সমাদৃত ছিলেন টেকনিক্যাল দূরদৃষ্টির জন্য। সোমবারের পর অতীত হয়ে গেলেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, "জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং বোলার ছিলেন, যাঁকে বর্তমান প্রজন্মও মনে রেখেছে, সেই বিষেন সিং বেদি আর নেই। বিশ্ব ক্রিকেটে এটা চরম দুঃসংবাদ। হিমাচল ক্রিকেটের কথা বললেও ওঁর কৃতিত্ব স্বীকার করতে হয়। ধর্মশালা স্টেডিয়াম যখন নতুনভাবে তৈরি করা হয়, সেই সময় উনি প্রচুর ক্যাম্প আয়োজন করেছেন। ক্যাম্প চলাকালীন উনি টিম ইন্ডিয়ার ড্রেসিংরুমে থাকতেন। পাঞ্জাব এবং দিল্লির ক্রিকেটের সঙ্গে ওঁর যোগাযোগ থাকলেও অবসর-পরবর্তীতে উনি হিমাচলের ক্রিকেট নিয়েও উৎসাহী হয়ে উঠেছিলেন। পাঞ্জাবের হয়ে খেলে যখন আমরা জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম, উনি আমাদের কোচ ছিলেন। ওঁর মৃত্যু ক্রিকেট জগতের অপূরণীয় ক্ষতি।"