কয়েকদিন আগেই মৃত্যুর খবর রটে গিয়েছিল। শেষমেশ বন্ধু হেনরি ওলোঙ্গা সেই গুজব উড়িয়ে দেন। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। তবে সেই স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হল না। এবার আর কোনও গুজব নয়। গুজবের দুই সপ্তাহ পরেই সত্যি সত্যি প্রয়াত হলেন। শেষমেষ মৃত্যুর কাছেই বশ্যতা স্বীকার করলেন জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক হিথ স্ট্রিক। মাত্র ৪৯ বছরে প্রয়াত হলেন তিনি।
নিজের ফেসবুক একাউন্ট থেকে স্ট্রিকের স্ত্রী নাদিম স্ট্রিক তাঁর মৃত্যুর খবর কনফার্ম করেছেন। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক হিথ স্ট্রিক। তবে সেই লড়াই দীর্ঘস্থায়ী হল না। ক্যানসার ধরা পড়ার পরেই দক্ষিণ আফ্রিকার নামি ক্যান্সার-বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছিল দাপুটে জিম্বাবোয়ানের। তবে রবিবার সব লড়াই শেষ হয়ে গেল।
২০০৫-এ ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। ২২.২৫ গড়ে ১৯৯০ রান এবং ২৮.১৪ গড়ে ২১৬ উইকেট তাঁর টেস্ট ক্রিকেটের প্রোফাইলে। সাদা বলের ক্রিকেটেও ভেলকি দেখিয়েছেন তিনি। ২৯৪৩ রান করার পাশাপাশি ২৩৯ উইকেট দখল করেছেন।
২০২১-এ দুর্নীতি সংক্রান্ত নিয়মবিধি ভঙ্গ করায় স্ট্রিককে ক্রিকেট থেকে বহিষ্কার করে আইসিসি। খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক স্তরে বহু দলের কোচিংয়ে যুক্ত ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ, জিম্বাবোয়ে তো বটেই, কেকেআরের মত আইপিএলে নামি দলের কোচও ছিলেন তিনি।
ক্রিকেট মাঠে একের পর এক কীর্তি স্থাপন করেছেন। প্রথম জিম্বাবোয়ান ক্রিকেটার হিসাবে টেস্ট এবং ওয়ানডেতে একশো উইকেট শিকার করার নজির গড়েন। এছাড়াও প্ৰথম এবং একমাত্র জিম্বাবোয়ান ক্রিকেটার হিসাবে তাঁর নামের পাশে রয়েছে ১০০ টেস্ট উইকেট এবং ১০০০ টেস্ট রান। একইভাবে ওয়ানডেতে ২০০০ রানের পাশাপাশি ২০০ উইকেটের সংগ্রাহকও তিনি।
তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া ক্রিকেট বিশ্বে।