Gambhir and Agarkar found loggerheads on captaincy issue: রোহিত শর্মার পর ভারতের অধিনায়ক হোক যশস্বী জয়সওয়াল। এমনটাই চান দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর। ইতিমধ্যেই রোহিতের পর ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন কে হবেন, তা নিয়ে নির্বাচক কমিটি ও হেড কোচ গৌতম গম্ভীরের বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে চূড়ান্ত মতবিরোধ দেখা দিয়েছে বলেই সূত্রের খবর। মুম্বইয়ে সম্প্রতি বিসিসিআই পর্যালোচনা বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে আলোচনা হয়েছে টেস্ট এবং একদিনের ক্রিকেটে ভারতীয় দলের পরবর্তী অধিনায়ক কে হবেন, সে ব্যাপারে। সদ্যসমাপ্ত বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি সিরিজে অধিনায়ক রোহিত শর্মার পারফরম্যান্স তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ায় টিম ইন্ডিয়ার পরবর্তী অধিনায়ক কে হবেন, সেনিয়ে আলোচনা তুঙ্গে উঠেছে।
সূত্রের খবর, বৈঠকে রোহিত জানিয়েছেন যে বোর্ড তাঁর উত্তরসূরি ঠিক না করা পর্যন্ত তিনি অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাবেন। তবে, সেই উত্তরসূরি ঠিক করতে গিয়েই নাকি চূড়ান্ত মতবিরোধ হয়েছে ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর ও অজিত আগরকরের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটির। রোহিতের বয়স বর্তমানে ৩৭ বছর। উত্তরসূরি ঠিক করতে না পারায়, বোর্ডের গত বৈঠকেই ঠিক হয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত রোহিতকেই অধিনায়ক রাখা হবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষ হওয়ার পরই রোহিতের উত্তরসূরির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন নির্বাচকরা।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈঠকে জসপ্রীত বুমরাকে অধিনায়ক করা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কিন্তু, বুমরার ওপর এমনিতেই প্রচুর চাপ। তাঁর চোটও রয়েছে। সেই কারণে বুমরার ওপর চাপ কমাতে তাঁকে অধিনায়ক না করার ব্যাপারে কার্যত সহমত হয়েছেন ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর ও নির্বাচকরা। তবে নির্বাচকরা চাইছিলেন, ঋষভ পন্থকে অধিনায়ক করতে। তাতে আবার নারাজ গম্ভীর। তিনি চান কমবয়েসি যশস্বী জয়সওয়ালকে করা হোক ভারতীয় দলের পরবর্তী অধিনায়ক।
নির্বাচকরা পন্থকে বাছার কারণ, তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে দিল্লি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি২০-র হোম সিরিজে ভারতীয় দলের নেতা ছিলেন। সেই সময় কেএল রাহুল ছিলেন ভারতীয় দলের নির্বাচিত অধিনায়ক। কিন্তু, রাহুল চোটের জন্য প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যান। তারপরই পন্থকে অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয়।
এমনিতে টি২০ বিশ্বকাপের পর রোহিত শর্মা ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন। তারপর গত বছরের জুলাই মাসে ভারতের টি২০ অধিনায়ক করা হয়েছে সূর্যকুমার যাদবকে। তবে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ডানহাতি এই বোলারের ওয়ানডে ক্রিকেটে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা কমেছে। কারণ তিনি এখনও ওয়ানডে ফরম্যাটে নিজের জায়গা পাকা করতে পারেননি।
আরও পড়ুন- শুধু যুবরাজই নন, রায়ুডুর কেরিয়ার ধ্বংসের পিছনেও দায়ী বিরাটই! অভিযোগ উত্থাপ্পার
প্রথমে ঠিক হয়েছিল, ভারত তিনটি ভিন্ন ফরম্যাটে তিনজন অধিনায়ক রাখবে। কিন্তু, বর্তমানে জানা গিয়েছে যে সেই সম্ভাবনা কম। প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে যে বুমরা টেস্ট এবং ওয়ানডে দলের নেতা হবেন। তবে, সেক্ষেত্রে নির্বাচকরা, 'একজন স্থায়ী সহ-অধিনায়ক রাখতে চান। যিনি বুমরা বিশ্রাম নেওয়ার সময় দলের নেতৃত্ব দেবেন। যেমনটা অস্ট্রেলিয়ায় প্যাট কামিন্সের ক্ষেত্রে হয়।'